ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’, আঘাত হানবে যেখানে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৪
হারিকেন হেলেনের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’। ঘূর্ণিঝড়টি দ্রুত বড় হারিকেনে পরিণত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলে এ হারিকেন আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহওয়া বিভাগ। ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে এবং নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেছে প্রশাসন।
রোববার (৬ অক্টোবর) ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ভোরে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় মিল্টন ফ্লোরিডার টেম্পা থেকে প্রায় ১,৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল বলে জানিয়েছে মিয়ামির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার। পরবর্তীতে এটি ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে পূর্বদিকে অগ্রসর হয়। তবে ঝড়টি ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
বাসিন্দাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ ঠিক কোথায় আঘাত হানবে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফ্লোরিডার উপকূল দিয়েই এটি স্থলভাগে উঠে আসবে। আঘাত হানা সম্ভাব্য অঞ্চলগুলো বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ফ্লোরিডাবাসীর উদ্দেশ্যে ডিস্যান্টিস বলেন, সোমবার সারাদিন, সম্ভবত মঙ্গলবার সারাদিন হারিকেন মোকাবিলার প্রস্তুতির সময় আছে। আপনাদের কোথায় নিরাপদে চলে যেতে হবে সে স্থান সম্পর্কে জানুন সেখানে আপনাদের বাধ্যতামূলক ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা ফ্লোরিডা ডিভিশন অব ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনকে হারিকেন হেলেনের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে সাহায্য করছে।
ফ্লোরিডার জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক কেভিন গুথরি জনগণকে সতর্ক করেছেন, ‘সম্ভবত ২০১৭ সালের শক্তিশালী হারিকেন ইরমার মতো আঘাত হানবে মিল্টন। তাই উপকূলীয় বাসিন্দাদের দূরে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করছি।’
গত মাসের শেষদিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড উপকূলে আঘাত হানে হারিকেন হেলেন। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। হারিকেনের তাণ্ডবে প্রাণহানির পাশাপাশি বিগ বেন্ড ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডুবে যায় শত শত সড়ক।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ