ঢাকা, রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

কে হচ্ছেন হিজবুল্লাহ প্রধান?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০৩  
আপডেট :
 ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১৬

কে হচ্ছেন হিজবুল্লাহ প্রধান?
হাসান নাসরাল্লাহর ডানে নাঈম কাসেম ও বামে হাশেম সাফিয়েদ্দিন

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তার স্থানে গোষ্ঠীটির নতুন নেতা কে হবেন সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

১৯৯২ সালে ৩৫ বছর বয়সে হিজবুল্লাহর মহসচিব হন নাসরুল্লাহ। এরপর থেকে হিজবুল্লাহ যতগুলো অস্তিত্বের আন্দোলন করেছে তার বেশিরভাগের নেতৃত্বই তিনি দিয়েছেন। হিজবুল্লাহ মানেই নাসরাল্লাহ, নাসরাল্লাহ মানেই হিজবুল্লাহ-এই মন্ত্রে চালিত সংগঠনটির জন্য নতুন নেতা খুঁজে পাওয়া খুব সহজ না হলেও, আপাতত আলোচনায় আছে দুইজনের নাম।

নাসরুল্লাহর উত্তরাধিকার হিসেবে হাশেম সাফিয়েদ্দিন ও নাইম কাসেমের নাম সামনে এসেছে।

হাশেম সাফিয়েদ্দিন

নাসরুল্লাহর চাচাতো ভাই হাশেম সাফিয়েদ্দিন তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি। তিনি হিজবুল্লাহর একজন অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। গোষ্ঠীটির বেশিরভাগ আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক ইরানের সঙ্গে তার গভীর ধর্মীয় ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি কাশেম সোলাইমানির মেয়ে জয়নব সোলাইমানির শ্বশুর হন। ২০২০ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন হামলায় সোলাইমানি নিহত হন।

নাসরুল্লাহ সঙ্গে সাফিয়েদ্দিনের বেশ কিছু মিল রয়েছে। বয়সে তিনি নাসরুল্লাহর থেকে কয়েক বছরের ছোট। ১৯৬৪ সালে জন্ম সাফিয়েদ্দিনের।

নাসরুল্লাহর মতো সাফিয়েদ্দিনও একজন আলেম, যিনি কালো পাগড়ি পরেন। সাবেক হিজবুল্লাহ প্রধানের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সাদৃশ্যও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় তাকে গোষ্ঠীটির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা ও নির্বাহি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে মনে করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিজবুল্লাহর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ‘খুব সম্ভবত’ সাফিয়েদ্দিন দলের শীর্ষ পদের প্রার্থী হবেন।

তবে এ জন্য ইরানের ব্যাপক সমর্থন পেতে হবে হাশেম সাফিয়েদ্দিনকে।

নাঈম কাসেম

হিজবুল্লাহর বর্তমান ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল কাসেমও নাসরুল্লাহর উত্তরাধীকারী হওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। তিনি বর্তমানে গোষ্ঠীটির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।

১৯৮০ এর দশকে এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭১ বছর বয়সি কাসেম এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে ছিলেন। তাকে হিজবুল্লাহর অন্যতম মৌলিক ধর্মীয় পণ্ডিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তিনি হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের শিক্ষাগত বিষয় ও তাদের সংসদীয় বিষয় তদারকি করতেন। ১৯৯১ সালে গোষ্ঠীটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন মহাসচিব আব্বাস আল-মুসাভি তাকে ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত করেন। আব্বাস আল-মুসাভিও ইসরায়েলের হাতে নিহত হয়েছিলেন।

২০০৫ সালে তিনি 'হিজবুল্লাহ, দ্য স্টোরি ফ্রম উইদিন' শিরোনামে বই লেখেন। এটি অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর অবস্থানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল একের পর এক বিমান হামলা চালায়। এতে তিনি নিহত হন। এ বিষয়ে প্রথমে কোনো মন্তব্য না করলেও শনিবার রাতের দিকে হিজবুল্লাহ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।

সূত্র : জিও নিউজ, আলজাজিরা 

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত