ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভারতীয় আগ্রাসন

শাহবাজ শরিফের কঠোর হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিলো ভারত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:১২

শাহবাজ শরিফের কঠোর হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিলো ভারত
জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফাস্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সংগৃহীত ছবি

নয়াদিল্লি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে আজাদ কাশ্মীর দখলের হুমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে ভারতকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এমন কড়া মন্তব্যের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়া দিল্লি। খবর এনডিটিভি, ডন

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভারত জানায়, ‘আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসীদের অব্যাহত সমর্থন দিয়ে পাকিস্তান অনিবার্যভাবে নিজেদের করুণ পরিণতি ডেকে আনছে।’

জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফাস্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন তার বক্তৃতায় পাকিস্তানকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন বলেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাধেও পাকিস্তানের জড়িত থাকার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

২০১৯ সালে ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অর্থাৎ সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করায় তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এসব কথা বলেন।

ভাবিক বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়, তাদের সন্ত্রাসবাদের কথা সবার জানা, যে দেশে মাদকের কারবার চলে, তাদের কী করে সাহস হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নিয়ে সমালোচনা করার।

ভারতের এই প্রতিনিধি বলেন, পাকিস্তানের চিত্র আসলে কেমন, তা সবারই জানা। এই প্রসঙ্গে তিনি ২০০১-এর সংসদ হামলা ও ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার কথা তুলে ধরেন।

এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম অধিবেশনে দেওয়া এক শক্তিশালী ভাষণে শাহবাজ শরীফ বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যে কোনও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান।

১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদের সামনে ২১ মিনিট ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এসময় আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর বিস্তৃত পরিসর নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। তবে তার ভাষণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় গাজা এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যুটি।

শাহবাজ শরিফ বলেন, শান্তির দিকে অগ্রসর না হয়ে, ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে ভারত।

তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ঘরোয়া রাজনৈতিক বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে তিনি বলেন, এটি শুধুই এক সংঘাত নয়, এটি নির্দোষ মানুষের ওপর এক পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

শাহবাজ শরিফ সতর্ক করে বলেন, গাজার শিশুদের রক্ত শুধু দখলদারদের হাতকেই কলঙ্কিত করছে না বরং যারা এই নিষ্ঠুর সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে তারাও এর দায় এড়াতে পারে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যখন তার ভাষণ শুরু করেন; তখন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে শাহবাজ শরিফ তার প্রতিনিধিদল নিয়ে সাধারণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে যান। পরে অন্যান্য মুসলিম নেতারা তাকে অনুসরণ করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত