ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভুলের পর ভুল তবুও নির্বাচনি লড়াইয়ে অনড় বাইডেন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪, ২০:০৪

ভুলের পর ভুল তবুও নির্বাচনি লড়াইয়ে অনড় বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নামের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম গুলিয়ে ফেলে আবারও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। এর আগেও বাইডেন ভুল করেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথা বলতে গিয়ে মুখ ফসকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলে ফেলেন। পরিস্থিতি সামলাতে জেলেনস্কি বলেন, তিনি পুতিনের চেয়ে ভালো।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে কমলা হ্যারিস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি কমলার নামের জায়গায় ট্রাম্প বলে ফেলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫তম সম্মেলন শেষে একক সংবাদ সম্মেলন করেন বাইডেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুর দিকেই কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ট্রাম্পের নাম গুলিয়ে ফেলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সম্মেলনে রয়টার্সের পক্ষ থেকে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কমলা হ্যারিসের ওপর তার আস্থা আছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, দেখুন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা না থাকলে তো আমি ট্রাম্পকে (হবে কমলা) ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিতাম না।

এর আগেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই সপ্তাহ আগে ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়া বাইডেন এমনিতেই দলের ভেতরে-বাইরে চাপের মুখে আছেন। তিনি ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আদৌ জিততে পারবেন কি না, তা নিয়ে সমর্থক, তহবিল দাতা, এমনকি ডেমোক্র্যাট দলের নেতারাও প্রশ্ন তুলেছেন। ৮১ বছর বয়সী বাইডেনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ২১৩ জন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধির মধ্যে অন্তত ১৬ জন এবং সিনেটের ৫১ জন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধির মধ্যে একজন ইতিমধ্যে বাইডেনকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য প্রকাশ্যে অনুরোধ জানিয়েছেন। বাইডেনের সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরপরই কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জিম হিমেসও ওই কাতারে যোগ দিয়েছেন। তবে ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেওয়া কোনো দেশের নেতাই বাইডেনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বা তার সক্ষমতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, আমি হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে বাইডেনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়ই দায়িত্বশীল একজন প্রেসিডেন্টকে দেখেছি, যিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভালোভাবে জানেন।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজও একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ জোটের নেতৃত্ব প্রমাণ করেছেন বাইডেন। জেলেনস্কিকে বাইডেনের পুতিন বলে সম্বোধন করা নিয়েও কথা বলেন শলৎজ। তিনি বলেন, মুখ ফসকে কথা বেরিয়ে যেতেই পারে, যদি আপনি সবার ওপর নজর রাখেন, আপনি অনেক কিছু খুঁজে পাবেন।

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও বাইডেনের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি বলেন, বাইডেনের নেতৃত্ব নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা ভুল। ওভাল অফিসে বাইডেনের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাইডেন সবদিক দিয়েই যোগ্য আছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত