ঢাকা, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

যৌন নির্যাতনে জেল খাটার পরই আশ্রম খোলেন ভোলে বাবা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৭:৪০

যৌন নির্যাতনে জেল খাটার পরই আশ্রম খোলেন ভোলে বাবা
ধর্মগুরু ভোলে বাবা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশে সৎসঙ্গ নামক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ব্যক্তির প্রাণহানির পর স্বঘোষিত ‘ভোলে বাবা’ নামে এক ধর্মগুরুকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বহু বিতর্কে নাম জড়িয়েছে ভোলে বাবার।

এমনকি ভোলে বাবার বিরুদ্ধে অতীতে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল। পাশাপাশি, তার বিরুদ্ধে আগ্রা, এটাহ্, কাসগঞ্জ, ফারুখাবাদ এবং রাজস্থানেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে এর আগে। তবে তার পরেও ‘বাবা’র জ্ঞান বিতরণে কমতি হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মগুরু ভোলে বাবা উত্তরপ্রদেশেরই বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশের এটাহ্‌ জেলার পাতিয়ালি পঞ্চায়েতের বাহাদুর নাগরি গ্রামের এক কৃষকের বাড়িতে তার জন্ম। আসল নাম সুরজপাল সিংহ। পড়াশোনা শেষ করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে যোগ দেন সুরজ।

তিনি প্রায় ১৮ বছর উত্তরপ্রদেশে পুলিশের ইনটেলিজেন্স ইউনিটের হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ভোলে বাবার অনুগামীদের দাবি, অতীতে গোয়েন্দা বিভাগের হয়েও তিনি কাজ করেছেন। তবে কিন্তু ধর্মীয় বাণী প্রচারের জন্য ১৯৯৯ সালে তিনি নাকি গোয়েন্দা বিভাগের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। চাকরি ছেড়ে নিজের নাম পরিবর্তন করে নারায়ণ সাকার হরি রাখেন সুরজ। সুরজপাল হয়ে ওঠেন ভোলে বাবা। এর পরে পরেই শুরু সৎসঙ্গের।

তবে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল ভোলে বাবার (যদিও তখনও তিনি ধর্মগুরু বা ভোলে বাবা হয়ে ওঠেননি) বিরুদ্ধে। এর পরেই তার চাকরি যায়। জেলেও যেতে হয়। জেল থেকে মুক্তির পরই নাকি নিজেকে ‘সাকার বিশ্ব হরি বাবা’ হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করেন তিনি। পৈতৃক বাড়িতেই আশ্রম খোলেন। হয়ে ওঠেন ভোলে বাবা। দিনে দিনে ভক্ত সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এখন হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, দিল্লিসহ গোটা ভারতে অসংখ্য ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোলে বাবা নামে ওই ধর্মগুরুর সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে গিয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। জনসমক্ষে তিনি আসেন সাদা কাপড়ে। উপদেশ অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে থাকেন স্ত্রী। বাবার ভক্তদের বেশিরভাগই আসেন আগ্রা ও আলিগড় জেলা থেকে। তার ভক্তদের বেশিরভাগই নিম্নআয়ের।

বাবা কোনো গুরুর অনুসারী নন বলে বিশ্বাস করা হয়। তার দাবি, যেসব উপদেশ তিনি দেন, সেগুলো সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসা। ফেসবুকে বাবার অনুসারীর সংখ্যা তিন লাখের বেশি। তার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে অনেক সংসদ সদস্য ও বিধানসভার সদস্য যোগ দেন বলে মনে করা হয়। এ অনুষ্ঠান মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এত জনপ্রিয়তার পরও গণমাধ্যম থেকে দূরে রাখা হয় বাবার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান। বাবার সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্যও সামনে আসে না। ভোলে বাবার লোকেরা গোলাপি রঙের শার্ট প্যান্ট এবং সাদা ক্যাপ পরেন। অনুষ্ঠানে ট্রাফিক সামলানো এবং আয়োজনের বিষয় তারা দেখভাল করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত