ঢাকা, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

নাইজেরিয়ায় আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ১৮

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ১৩:২৫  
আপডেট :
 ০১ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩১

নাইজেরিয়ায় আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ১৮
নাইজেরিয়ায় আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ১৮ । ছবি: সংগৃহীত

নাইজেরিয়ায় একই সময়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান, শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ও একটি হাসপাতালে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন।

গতকাল রোববার (৩০ জুন) বোর্নো রাজ্যে আত্মঘাতী বোমা নিক্ষেপকারীদের সবাই নারী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

২০০৯ সালে বোর্নো রাজ্য বোকো হারামের বিদ্রোহে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চরমপন্থী গোষ্ঠীটি এর আগেও আত্মঘাতী বোমা হামলায় নারী ও মেয়েদের ব্যবহার করেছে। কয়েক বছর ধরে স্কুলপড়ুয়া শিশুসহ হাজার হাজার মানুষকে অপহরণ করেছে এই গ্রুপ। তাদের মাধ্যমেই এ হামলা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

বোর্নো রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মহাপরিচালক বারকিন্দো সাইদু সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোজায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে প্রথম আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একটি ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটায়।

সাইদু বলেন, 'কয়েক মিনিট পর জেনারেল হাসপাতালের কাছে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে।’ আর তৃতীয় হামলাটি করা হয়েছে একটি শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। নিহতদের মধ্যে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

তিনি জানান, অনেকের পেট ফেটে গেছে এবং মাথার খুলি ভেঙে গেছে।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু এক বিবৃতিতে এ হামলাকে 'মরিয়া সন্ত্রাসী হামলা' এবং 'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা' বলে অভিহিত করেছেন।

লেক চাদের আশপাশের সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়া এই বিদ্রোহে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ২৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।

নাইজেরিয়াকে একটি ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সহযোগী বোকো হারাম। পশ্চিম আফ্রিকার তেল সমৃদ্ধ এ দেশটিতে ১৭ কোটি মানুষ বাস করে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল খ্রিস্টান এবং উত্তরাঞ্চল মুসলিম অধ্যুষিত।

বোর্নোতে আত্মঘাতী বোমা হামলার পুনরুত্থানে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

কর্তৃপক্ষ শহরটিতে কারফিউ জারি করেছে। চিবোকের কাছে অবস্থিত গোজায় ২০১৪ সালে ২৭৬ জন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন মেয়ে এখনও বন্দি।

তারপর থেকে নাইজেরিয়া জুড়ে কমপক্ষে ১,৫০০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। কারণ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তহবিল সংগ্রহ এবং গ্রামগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য এই চর্চাকেই লাভজনক উপায় বলে মনে করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত