ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইসরায়েলি নারীদের বন্দুক কেনার হিড়িক

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ২১:৩০

ইসরায়েলি নারীদের বন্দুক কেনার হিড়িক
ইসরায়েলে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এক নারী। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইরায়েলের অভ্যন্তরেফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ইতিহাসের ভয়াবহ হামলা হামলার পর ভীতিকর পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েলি নারীদের মধ্যে বন্দুক কেনার হিড়িক পড়ে গেছে।

আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলে বন্দুকের মালিকানার যোগ্যতার মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে ১৮ বছরের বেশি বয়সের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া, হিব্রু ভাষার ওপর সাধারণ দখল এবং চিকিৎসা ছাড়পত্র। ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে বন্দুক ক্রয়ের জন্য নারীদের কাছ থেকে ৪২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১৮ হাজার আবেদনে সম্মতি দেয়া হয়েছে। এ সংখ্যা যুদ্ধের আগে নারীদের হাতে থাকা লাইসেন্সের সংখ্যার চেয়ে তিন গুণ বেশি।

ইসরায়েলের ডানপন্থী সরকার ও উগ্র ডানপন্থী নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের অধীনে দেশটির বন্দুক আইন শিথিল করার মাধ্যমে এই উত্থান হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ১৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নারী এখন ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক। এ ছাড়া ১০ হাজার নারী বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণে নিবন্ধিত রয়েছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক লিমোর গোনেন অ্যারিয়েলের পশ্চিম তীরের বসতিতে শুটিং রেঞ্জে অস্ত্র পরিচালনার ক্লাস চলাকালীন বলেন, ৭ অক্টোবরের হামলার পর পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। আমি কখনো অস্ত্র কেনার কথা ভাবিনি। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে এখন ভাবতে হচ্ছে।

এদিকে সাধারণ ইসরায়েলিদের হাতে মারাত্মক অস্ত্র দেওয়ার জন্য সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছে। নারীবাদী কর্মীদের প্রতিষ্ঠিত দ্য গান ফ্রি কিচেন টেবিল কোয়ালিশন বেসামরিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার নিন্দা করেছে। ১৮টি সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেছেন, বেসামরিক জায়গায় অস্ত্রের বৃদ্ধি নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও হত্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে। রাষ্ট্রের বোঝা উচিত, ব্যক্তি পর্যায়ে নিরাপত্তা দেওয়া তার দায়িত্ব।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইরায়েলের অভ্যন্তরে ইতিহাসের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ হামলায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বলয় পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। হতবাক হয়ে পড়ে দেশটির দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়ে এবং জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় ২৫০ জনকে। হামাসের হামলার পরই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ আট মাসের বেশি সময় ধরে চলা হামলায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত