ঢাকা, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : ৯ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

তিন দিনের সফরে মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ১৭:১৮

তিন দিনের সফরে মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সংগৃহীত ছবি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার (৯ জুন) তিনদিনের সফরে মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন। ওয়াশিংটন গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন তা মেনে নিতে ইসরায়েল ও হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ সফরে যাচ্ছেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকা।

স্থানীয় সময় শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করার পর মধ্যপ্রাচ্যে এটি হবে তার অষ্টম সফর। শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক মিশর, ইসরায়েল, জর্ডান এবং কাতার সফর করবেন এবং দেশগুলোর সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

বাইডেন আট মাসব্যাপী যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য একটি নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা তৈরি করার পর সম্প্রতি ইসরায়েল এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। উভয় পক্ষই বড় সংঘাতের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনার বিষয়বস্তু হবে কীভাবে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়েরই উপকার আসবে। যার ফলে গাজায় দুর্ভোগ লাঘব হবে, মানবিক সহায়তা বাড়বে এবং ফিলিস্তিনে আটক জিম্মিরা দেশে ফিরে যেতে পারবে।

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল এবং হামাসের যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করার জন্য মিশর, কাতার এবং অন্যদের মধ্যস্থতায় আলোচনা বারবার স্থগিত হয়েছে। এজন্য প্রতিটি পক্ষ অগ্রগতির অভাবের জন্য অপরকে দোষারোপ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, যুদ্ধবিরতি লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে উত্তেজনা পরিস্থিতি শান্ত করবে। এছাড়া ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, ইসরায়েল উত্তরে শক্তিশালী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত। তিনি ডিসেম্বরে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, হিজবুল্লাহ যুদ্ধ শুরু করলে বৈরুতকে ‘গাজার’ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

ইসরায়েলের দাবি, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয় যখন হামাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ করে। এ সময় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে জিম্মি করা হয়।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের স্থল ও বিমান হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনের নাগরিক নিহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত