নাইজারে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো ইকোওয়াস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১৯:০৮ আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৪৩
নাইজারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপের লক্ষে ঘানার রাজধানী আক্রায় এই বৈঠক করার কথা ছিল পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংস্থা ইকোওয়াস নেতাদের। তবে ‘কারিগরি কারণে’ বৈঠকটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। মূলত, সবচেয়ে ভালো পন্থায় কীভাবে সৈন্য মোতায়েন করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
ইকোওয়াস মাত্র তিন বছরের মাথায় ষষ্ঠবারের মতো এই অঞ্চলে সামরিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র ও চারদিকে স্থল সীমান্তের দেশ নাইজারে ইতোমধ্যে জোটটি আর্থিক লেনদেন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। এছাড়া দেশটিকে আমদানির বিষয়েও বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে এর আগের সম্মেলনে ইকোওয়াস হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ৬ আগস্টের মধ্যে পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজোমকে মুক্তি না দিলে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে না গেলে জোটটি নাইজারের বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে বিবেচনা করবে। তবে, সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও দেশটিতে কোনো সামরিক অভিযানের ঘটনা ঘটেনি।
এসব ঘটনার মাঝেই নাইজারে ২১ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন অভ্যুত্থানকারী নেতা। শুক্রবার (১১ আগস্ট) প্রথম বৈঠকেও বসে ওই মন্ত্রিসভা।
এদিকে, রাজধানী নিয়ামের উপকণ্ঠে ফরাসি সামরিক ঘাঁটির কাছে বিক্ষোভ করেছে নাইজারের নাগরিকরা। তারা সেখানে জড়ো হয়ে ইকোওয়াস ও ফ্রান্সবিরোধী স্লোগান দেন। অনেক সমর্থককে এ সময় দেশটিতে অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদোরহমানে চিয়ানির পক্ষে স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
আরও পড়ুন...নাইজারে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট আটক
আট বছর ধরে বিদ্রোহের জেরে বিপর্যস্ত নাইজারে প্রায় দেড় হাজার ফরাসি সৈন্য অবস্থান করছে। দেশটি ছিল সাবেক ফরাসি উপনিবেশ। ফ্রান্সের সঙ্গে নাইজারের বেশ দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। তবে, বর্তমান অভ্যুত্থানকারী নেতারা ফ্রান্সের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন এবং ফরাসি ভাষার দুটি সংবাদপত্র বন্ধ করে দেন। সূত্র: আলজাজিরা
বাংলাদেশ জার্নাল/সামি