চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনা ব্লিংকেনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ১২:৫২ আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, ১২:৫৭
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাস্তবসম্মত এবং স্থিতিশীল সম্পর্ক গঠন করতে চায় চীন। রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, শীর্ষ কূটনীতিক পর্যায়ের এই বৈঠক দুই পরাশক্তির মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা হ্রাসের পথ খুলে দেবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেকোনো বিষয়ে ভুল ধারণা এবং ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি কমাতে উভয়পক্ষের মধ্যে সবসময় কূটনীতি এবং অন্যান্য সব ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম খোলা রাখার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। পরবর্তী আলোচনার জন্য কিন গ্যাং ওয়াশিংটন সফরে যেতে রাজি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিন গ্যাং বলেছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গঠনমূলক, বাস্তবসম্মত এবং স্থিতিশীল সম্পর্ক গঠন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি তিনি চীনের মৌলিক ইস্যু যেমন তাইওয়ান নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি।
দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনা শুরুর আগে মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, এই আলোচনা থেকে খুব বেশি কিছু বের হয়ে আসবে না। বিশেষ করে, তাইওয়ান ইস্যু, চীনের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের বাগড়া, দুই দেশের বাণিজ্য ইত্যাদি নিয়ে হয়তো কোনো কথাই হবে না। কিন্তু এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরেছেন এবং যেসব ক্ষেত্রে দুই দেশের স্বার্থ এক বিন্দুতে মিলে যায় সেসব বিষয়ে সহযোগিতা নিশ্চিতের সুযোগ বা উপায় নিয়েও কথা বলেছেন।আরও পড়ুন...অবশেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিংয়ে
এদিকে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সিসিটিভি জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনকে বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরুর পর কূটনৈতিক দিক থেকে এতটা খারাপ অবস্থা কখনও হয়নি। এর ফলে দুই দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক স্বার্থ রক্ষা করা যাচ্ছে না, আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রত্যাশাও পূরণ হচ্ছে না।
চীনের পররষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী হুয়া চুনইং টুইট করে বলেছেন, আশা করছি, এই আলোচনার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আবারও পুরোনো জায়গায় ফিরবে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট এই আশাই করেছিলেন।
তবে আলোচনার পর অ্যান্টনি ব্লিংকেন বা কিন গ্যাং কেউই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি।
বাংলাদেশ জার্নাল/সামি