ভারতে সকল উৎসবে প্রকাশ্যে জনসমাগম নিষিদ্ধ
দিল্লির পর এবার ভারতের সকল রাজ্যে হোলি, শবে বরাত, বিহু, ইস্টার ও ঈদ উপলক্ষে প্রকাশ্যে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারির সুপারিশ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণরোধে বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো সকল রাজ্যের মুখ্য সচিবকে লেখা চিঠিতে এ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। আনন্দবাজার ।
ভারতে করোনা সংক্রমণে প্রতিদিন নতুন করে রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে। পাঁচটি রাজ্যে ভোটের পরে সংক্রমণ যে আরও বাড়বে, সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এ পরিস্থিতিতে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে উৎসবের কারণে যাতে আর সংক্রমণ না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলোকে উৎসবের দিনে প্রকাশ্য জনসমাগম বন্ধে নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল বলেন, ‘গত অক্টোবরে পুজার মৌসুমের পরে নভেম্বরে এক ধাক্কায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। সামনেই হোলি-শবে বরাত, বিহু-ঈদ রয়েছে। সে সময় যাতে জনসমাগমের কারণে করোনা নতুন করে না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উৎসব পালনের জন্য ভবিষ্যতে অনেক সময় পাওয়া যাবে। আপাতত সংক্রমণ রোধ করা বেশি জরুরি।’
বুধবার দিল্লি সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, এ বছর প্রকাশ্যে হোলি খেলা ও শবে বরাতে রাস্তায় লোকজনদের নামতে দেয়া যাবে না। কেজরিওয়াল সরকার নির্দেশ জারি করে জানায়, যে হারে সংক্রমণ আবার বাড়ছে তা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ দিল্লি সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, ‘সব রাজ্যের দিল্লির মতো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’ চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সামান্যতম অবহেলা এ যাবৎ যে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে তা ধূলিসাৎ করে দিতে পারে।
বাংলাদেশ জার্নাল/নকি