আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:২৯
বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে রোববার থেকে শুরু হওয়া আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১১ জন সাধারণ মানুষ। খবর ডয়চে ভেলের।
জানা যায়, এই অঞ্চল নিয়ে ২০১৬ সালে শেষ বড়সড় সংঘর্ষ হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। রোববার ফের ওই অঞ্চলের দখল নিয়ে দুই দেশ যুদ্ধে নেমে পড়েছে।
আজারবাইজানের অভিযোগ, বোইনি ভাবে ওই অঞ্চলের দখল রেখেছে আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়ার বক্তব্য, নাগর্নো-কারাবাখ মুক্তাঞ্চল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরই দখলে রয়েছে এলাকা। ২০১৬ সালেও এই নিয়ে কার্যত যুদ্ধ শুরু হয়েছিল দু’টি দেশের মধ্যে। তবে রোববার থেকে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, তা অতীতের সমস্ত সংঘাতকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুইটি দেশেই মার্শাল আইন চালু হয়ছে। অর্থাৎ, যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সেনার বিশেষ আইন বলবৎ হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ অবশ্য এই যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। মূলত ফ্রান্স এবং জার্মানির আবেদনের ভিত্তিতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, বন্ধ ঘরে ওই বৈঠক হবে। সকলে শুনতে পারবেন না।
রাশিয়া অবিলম্বে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ বন্ধের আবেদন জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ দুই দেশের প্রতিনিধিকে অস্ত্র ছেড়ে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আপাতত অস্ত্র ছাড়ার ইঙ্গিত দু’টি দেশই দেয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, এই যুদ্ধের পিছনে হাত রয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়ার। সিরিয়া বহু যোদ্ধাকে আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সীমান্তে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, বিতর্কিত অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়াকে সরে যেতে হবে। নইলে তাদের ওপর আরও চাপ তৈরি করা হবে। এই যুদ্ধে আজারবাইজানকে সরাসরি সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক।
আরও পড়ুন
আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধে নিহত বেড়ে ৮১
আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার যুদ্ধ: নিহত বেড়ে ৬৭
আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে নিহত ২১
বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই