ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ৭ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

প্লাজমা চিকিৎসার অনুমোদন দিলো যুক্তরাষ্ট্র

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২০, ১৩:৪৯

প্লাজমা চিকিৎসার অনুমোদন দিলো যুক্তরাষ্ট্র

আমেরিকান কর্তৃপক্ষ করোনা রোগীর চিকিৎসায় ডাক্তারদের প্লাজমা ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর তীব্র চাপ তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে রোববার ফুড এন্ড ড্রাগ প্রশাসন এক ঘোষণায় এ কথা বলেছে। খবর বিবিসি বাংলা

মহামারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের রক্ত থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্লাজমা দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রেই এর মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি মানুষের ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ কমতে পারে। এর একদিন আগেই এফডিএ-র বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে টিকার অবমুক্তি আর চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন দেয়া নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ করেছিলেন।

এদিকে দ্বিতীয় দফার দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার আগে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের আগের দিন এই ঘোষণা এলো।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি অনেক দিন ধরে চাইছিলাম চীনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এরকম একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এটি আমাদের অসংখ্য জীবন বাঁচাবে। সেই সঙ্গে কোভিড-১৯ থেকে যারা সুস্থ হয়েছেন, তাদের প্লাজমা দান করতে এগিয়ে আসার জন্যও আহ্বান জানান তিনি।

খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) বলছে, প্রাথমিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তির প্রথম তিনদিনের মধ্যে রক্তের প্লাজমা দিতে পারলে সেটি মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে পারছে এবং রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেছে। সাম্প্রতিক কয়েক মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, এটি একটি নিরাপদ পদ্ধতি। যেকোনো ঝুঁকির তুলনায় এর উপকারিতা অনেক বেশি বলে তারা জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এফডিএর জীববিজ্ঞান মূল্যায়ন এবং গবেষণা বিভাগের পরিচালক পিটার মার্কস বলেছেন, আমাদের এ নিয়ে কোন আপত্তি নেই এবং নিরাপত্তার ইস্যুতে এখানে আমরা কোন ঝুঁকি দেখছি না।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্লাজমার ব্যবহার ইতোমধ্যে করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এর কার্যকারিতার মাত্রা নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।

করোনা মোকাবেলা নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছেন ট্রাম্প। নভেম্বরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পুনর্নিবাচনকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পকে কঠোর লড়াই মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওআ/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত