আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পরীমণি
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক দিনের মাথায় জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এদিন আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পরীমণির পক্ষে অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল আসামি পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে চিত্রনায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। সে মামলায় আদালতে পরীমণির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইনজীবী সোহেল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে পরীমণির পক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতে সময় আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন এবং আগামী ২০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
তখন পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, অভিনেত্রী ও তার সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেননি। মূল্য দাবি করলে পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলার হয়রানির ভয় দেখান।
পরীমণির বিরুদ্ধে করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর পরীমণি তার সহযোগীদের নিয়ে বোটক্লাবে ঢোকেন। ওই সময় বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম ক্লাব ত্যাগ করছিলেন। ওইসময় পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসির ও আলমকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন।
এ সময় নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি হত্যার হুমকি দিয়ে বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমণি ৫ দিন পর ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও চারজনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যদিও সে মামলার তদন্তে ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ