জুরিবোর্ডে ইলিয়াস কাঞ্চন ও বাঁধন
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:১০
এবারের উৎসবে জুরিবোর্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও আজমেরী হক বাঁধন। বৃহস্পতিবার উৎসবের ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আগামী ১১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসর। ৯ দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৭৫ দেশের প্রায় ২৫০টি সিনেমা।
২৩তম ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান ফিল্ম কমপিটিশন বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এর আগেও একবার এই উৎসবে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এরপর তারা অনুরোধ জানালেও আমি সময় করতে পারিনি। এ বছর আবারও দায়িত্ব নিয়েছি। চেষ্টা করব, আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করার।’
এ বিভাগের জুরি হিসেবে আরও আছেন নরওয়ের চলচ্চিত্র পরিবেশক এজ হোফার্ট, চীনের চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক ঝ্যাং ইউডি, মঙ্গোলিয়ার অভিনেত্রী মুনগুনজুল আমগালানবাতার এবং ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক ড্রাগন মিলিনকোভিচ।
আজমেরী হক বাঁধন দায়িত্ব পালন করবেন ওমেন ফিল্মমেকার বিভাগে। এ বিভাগে জুরির দায়িত্বে আরও আছেন লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশের অভিনেত্রী ও নির্মাতা লিসা গাজী, চীনের মেই পো রেইনবো ফং এবং ইরানি অভিনেত্রী হুদা মোগাদ্দাম মানিশ।
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরির দায়িত্ব পাওয়াটা সম্মানের বলে মনে করেন অভিনেত্রী বাঁধন। উৎসবে অংশ নিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা নিতে উন্মুখ তিনি।
বাঁধন বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা হচ্ছে। এ উৎসবে জুরি হিসেবে অংশ নেওয়া আমার জন্য সম্মানের, অনেক আনন্দের। অপেক্ষায় আছি বাকি জুরিদের সঙ্গে কাজ করার।’
বাঁধন আরও বলেন, ‘আমার কাছে ফেস্টিভ্যাল মানেই ইন্টারেস্টিং বিষয়। “রেহানা মরিয়ম নূর” সিনেমার জন্য অনেক ফেস্টিভ্যালে যেতে হয়েছে। কান উৎসব থেকে শুরু করে পৃথিবীর বড় বড় উৎসবে শিল্পী হিসেবে অংশ নিয়েছি। তবে একজন বিচারক হিসেবে ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত থাকা, সিনেমা দেখা, সেগুলো বিচার করা খুব চ্যালেঞ্জিং এবং এক্সাইটিং। নতুন অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়, এটাও ভীষণ আনন্দের।’
এর আগে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত আই অ্যাম টুমোরো চলচ্চিত্র উৎসব এবং বেঙ্গালুরু চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে বাঁধনের। তবে দুই উৎসবেই যোগ দিয়েছিলেন অনলাইনে। এবারই প্রথম সশরীরে কোনো উৎসবের জুরি হিসেবে অংশ নেবেন বাঁধন।
তিনি বলেন, ‘কাজ থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ব্রাসেলসের আই অ্যাম টুমোরো ফেস্টিভ্যালে অনলাইনে যুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। এ ছাড়া ভিসা না দেওয়ায় ভারতের বেঙ্গালুরু উৎসবে জুরি হিসেবে উপস্থিত হতে পারিনি। যদিও কর্ণাটক রাজ্য থেকে আমাদের দেশের ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল আমার ভিসার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিসা না পাওয়ায় অনলাইনে যোগ দিতে হয়েছিল।
এবারই প্রথম সশরীরে জুরি হিসেবে ফেস্টিভ্যালে থাকতে পারব, এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সবাইকে উৎসবে এসে দেশ-বিদেশের সিনেমা দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি