ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কলকাতায় তৈরি হচ্ছে গুলশান কলোনি: বিজেপি

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৫

কলকাতায় তৈরি হচ্ছে গুলশান কলোনি: বিজেপি
বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

২২০০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ খোলা সীমান্ত দিয়ে হু হু করে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছেন অবৈধ বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গা মুসলমানরা। এই রোহিঙ্গাদের মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্র পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তাদের দেশ থেকেও তাড়াচ্ছে। অথচ তারা কলকাতায় গুলশান কলোনি তৈরি করছেন বলে বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশকে নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি।

রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, এড়িয়ে যাবেন না। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সত্যিটাকে ভয় পান। একটা অপদার্থ রাজ্যসরকার শুধু ক্ষমতা টাকা আর ভোটের লোভে কীভাবে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিয়েছে রাজ্যবাসী আর দেশকে ভাবুন। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীতে ভরে যাচ্ছে আপনার গ্রাম ও শহর। এতে বাড়ছে তৃণমূলের বেআইনি অবৈধ ভোটব্যাংক। সঙ্গে বাড়ছে আমার দেশ রাজ্যের সর্বনাশ। তৃণমূল নেতারা ও রাজ্য সরকার তাদের বানিয়ে দিচ্ছে ভোটার কার্ড।

তিনি আরও বলেন, আসলাম খান হয়ে যাচ্ছে, অসীম খাঁ। সাবিনা হয়ে যাচ্ছে সাবিত্রী চক্রবর্তী। উন্নয়নের ঢেউতে মিশে যাচ্ছে সর্বনাশের বিষ। সব দেখে সব জেনেও চোখকান বন্ধ রেখেছে অনুপ্রাণিত, দলদাস পুলিশ। দুর্নীতিবাজ তৃণমূলের ভোট আর টাকার লোভে দখল হচ্ছে আপনার মাটি। এই তৃণমূল সরকার আজ বাদে কাল বিদায় নেবে। ততক্ষণে যা সর্বনাশ হওয়ার তা নিশ্চিত সমাপ্ত!

রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, সল্টলেক রাজারহাট দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া, মেদিনীপুর,বারাসত, মধ্যমগ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনাসহ সব বর্ডার জেলা ভরে যাচ্ছে তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাংকে। অবৈধ ভোটার কার্ড নিয়ে এরা ছড়িয়ে পড়ছে ভারতের সর্বত্র। বিপন্ন আপনি আমি আমাদের দেশ।

তিনি আরও লিখেছেন- কদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার যে কসবা অঞ্চলে (রুবি মোড় / অ্যাক্রোপলিস মলখ্যাত এলাকা) তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত গুলি খেতে খেতে বেঁচে গেল, সেই এলাকাতেই এই গুলশান কলোনি/মিনি বাংলাদেশ! (খিদিরপুর তো আগেই মন্ত্রী ববি হাকিম দ্বারা ঘোষিত মিনি পাকিস্তান।)

রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, কসবা বিধানসভার দাপুটে জমিনদার হলেন তৃণমূল মন্ত্রী জাভেদ খান। যার নির্দেশ ছাড়া ওই এলাকায় তৃণমূলের ছোট-বড় নেতা, কাউন্সিলর বা ক্রিমিনালরা সোনার দামের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ে না কাউকে, সেখানে অবাধে বিস্তীর্ণ হয়েছে অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের গুলশান কলোনি! নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন গুলশান শব্দটা এই মাটির চেনা শব্দ নয়! ও হ্যাঁ, এই গুলশান কলোনির অঘোষিত মালিক জাভেদ খান কিন্তু মমতা মন্ত্রিসভার খুব বিশ্বস্ত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী! দুর্যোগ আপনার-আমার দেশ ও রাজ্যের, ব্যবস্থাপনায় মমতার মন্ত্রী জাভেদ খান। এই বিষধর গুলশন ফুটেছে- একটা নয়, শত শত। তার বিষ আপনার জন্য।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত