ঢাকা, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি’

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ২১:০৬  
আপডেট :
 ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ২২:১৪

‘আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি’
আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি: ফারুকী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে এসেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আর এই আন্দোলনে সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন এই নির্মাতা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও তিনি চুপ নেই। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেশ সংস্কারের কথা বলছেন। চলমান নানা ইস্যু নিয়ে নিয়মিত নিজের মতামত ও পরামর্শ দিচ্ছেন। নানান বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। যে কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়ে ফারুকী জানালেন, সরকার পতনের পরেও আওয়ামী লীগ নানাভাবে তাকে নিয়ে প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। যে বিষয়টি আবারও তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ফারুকী তার স্ট্যাটাসের শুরুতেই কটাক্ষের সুরে লিখেছেন, আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি! আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। সুতরাং ‌‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’ কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানাচ্ছি!

নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনটি বিষয় তুলে ধরেন এই নির্মাতা।

প্রথমত তিনি বলেন, ‘ওহে, আমি কোনো রাজনৈতিক কর্মী না। আমি আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবারই ভালো কিছুর প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারি।’

দ্বিতীয়ত বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের কালে যেহেতু এই দেশেই থাকতে হইছে, ফলে আমাদের বেঁচে থাকা ছিল বড় কৌতুকময়। নানা কায়দা-কানুন করে বেঁচে থাকতে হইতো। সরকারের সমালোচনা করে একটা পোস্ট দিলে তিনটা দিতে হইতো প্রশংসা করে। আবার সমালোচনারও কিছু প্যাটার্ন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে বাইরে রেখে অন্যদের সমালোচনা করতে হইতো। তারপর ধরেন, আপনার সিনেমা আটকে যাবে যেটা আটকানোই অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবীর করবেন। এবং ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ দিবেন। নানাবিধ কৌতুকময় ছিল এই জীবন। সামনে আমার কাজে এইসবের ছাপ দেখবেন অল্প বিস্তর।’

তৃতীয়ত বলেন, ‘ওরাও জানে ওদের লুটপাট, টেন্ডার বাণিজ্য, চুরি-চামারি, ব্যবসা কোনো কিছুর সাথেই আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু আমাদের ওপর রাগ আছে। কেন আমরা ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে নামলাম—এই ক্ষোভ বড় গভীর। এই ক্ষোভ ঢালার জন্য এখন ওদের কষ্ট করে আমার টাইমলাইনের ওপর পিএইচডি করতে হচ্ছে।

কিন্তু ওদের নিজেদের জন্য ভালো হবে এইসবে সময় ব্যয় না করে, আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটা। আর বাংলাদেশের করণীয় হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধ আর সীমাহীন লুটপাটের বিচার করা।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত