ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

পরীকাণ্ডে নজরদারিতে কে সেই প্রভাবশালী নারী?

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২১, ১৭:৫২  
আপডেট :
 ০৬ আগস্ট ২০২১, ১৯:২৯

পরীকাণ্ডে নজরদারিতে কে সেই প্রভাবশালী নারী?
ঢাকায় চলচিত্রের নায়িকা পরীমনি গ্রেপ্তার। ফাইল ফটো

বর্তমানে দেশের ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ চিত্রনায়িকা পরীমনির গ্রেপ্তারের ঘটনাটি। গেল বুধবার সন্ধ্যায় লাস্যময়ী এ নায়িকার বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার হওয়ায় তাকে আটক করা হয়। এরপর র‌্যাব বাদী হয়ে নায়িকার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে। সেই মামলায় চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন পরীমনি।

এদিকে পরীমনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর এক এক করে বের হয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। পরীমনির বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ। সেখানে চিত্রনায়িকা পরীমনির ঘনিষ্ঠ এক নারীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে সেই নারীটি কে, কি নাম তার? সেটা তিনি না জানালেও বলেছেন, সেই নারী পরীমনির খুবই ঘনিষ্ঠ।

ডিবি কর্মকর্তার এমন বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে সেই নারীটি কি পরীমনির কথিত মা চলচিত্র ও নাট্টনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী? কিন্তু তিনি কোথায়? গত বুধবার পরীমনির বাসায় র‌্যাবের অভিযান, আটক, গ্রেপ্তার, আদালতে হাজির ও রিমান্ডের ঘটনায় কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি চয়নিকাকে।

অথচ বোট ক্লাবের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদতে থাকা পরীমনির চোখের পানি মুছে দিয়েছিলেন চয়নিকা। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেও ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এক কথা সার্বক্ষণিক পরীমনির ছায়া হয়ে থেকেছিলেন। সাহস জুগিয়েছিলেন পরীমনির।

তাইতো পুলিশ যে নারীকে নজরদারিতে রেখেছেন তিনি যে চয়নিকা চৌধুরী হতে পারেন সেটা ধরে নেয়ায় যায়। কারণ, এবারের পরীমনির ঘটনায় চয়নিকা চৌধুরীকে নায়িকার ধারে-কাছেও দেখা যায়নি। এমনকি গত দুই দিন ধরে নিজের ফেসবুক ওয়ালে কোনো স্ট্যাটাসও দেননি।

তবে নিজের এই অনুপস্থিতির বিষয়ে এক গণমাধ্যমকে চয়নিকা জানিয়েছেন, আগের ঘটনায় তিনি পরীমনির কাছে ছুটে গিয়েছিলেন দায়িত্ববোধ থেকে। সবার বিপদেই তিনি এভাবে এগিয়ে আসেন। কিন্তু এবার পারেননি কারণ, পরী যখন লাইভে আসেন তখন তিনি ফেসবুকেই ছিলেন না। সন্ধ্যা ৬টার পর তিনি জেনেছিলেন কিন্তু ততক্ষণে সেখানে র‌্যাবের অভিযান চলছিলো।

কিন্তু তাই বলে কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও একটা স্ট্যাটাস দিতে পারলেন না তিনি? এমন প্রশ্ন চয়নিকাকে করা না গেলেও পরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তার ফেসবুক আইডিটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভেট করেছেন তিনি। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পরী ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানারকম নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে। এসব সাইবার আক্রমণ থেকে দূরে থাকতেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করেছেন চয়নিকা।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত