ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসন ক্যাডার ফারজানার পরামর্শ

  জোবায়ের আবদুল্লাহ

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:১৩

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসন ক্যাডার ফারজানার পরামর্শ

উম্মে হাবিবা ফারজানা, একজন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা ও একজন মা। প্রায় চার বছর পড়ালেখা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পরও শুধু দৃঢ় মনোবল আর পরিশ্রমের কারণেই সফল এই তরুণী। ৩৭তম বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। বিসিএসের জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে তা নিয়ে কথা হয় ফারজানার সাথে। যারা বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের জন্য ফারজানার দেয়া পরামর্শ তুলে ধরা হলো।

যারা বিসিএসের পড়াশোনা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ফারজানা বলেন, প্রথমেই নিজের আত্মবিশ্বাসকে জয় করতে হবে। আমরা যদি ব্যস্ততা, পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে দোষারোপ করতে থাকি, তবে এ দোষারোপের মধ্য থেকে বেরুতে পারবো না। আমাদের এগিয়ে যাওয়াটাও সম্ভব হবে না। এজন্য আগে দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের চারপাশের অবস্থাকে মেনে নিতে হবে এবং এ অবস্থাকেই ভালোবাসতে হবে। নিজেকে তৈরি করতে হবে। আমি কিভাবে এগিয়ে যেতে পারি তার সিদ্ধান্ত আমাকেই নিতে হবে। দিন অথবা রাতের কোন সময়ে আমি পড়তে পারি তা নিজেকেই ঠিক করতে হবে এবং সে অনুযায়ী সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শুধু বিসিএস পরীক্ষার জন্য নয় বরং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে চারপাশের খোঁজখবর রাখাটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা যদি প্রতিদিন পত্রিকা পড়ি, টিভিতে খবর দেখি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানি এবং মাথায় রাখতে পারি, তবে বিসিএসের অনেক বড় একটি অংশ পড়া হয়ে যায়। আলাদাভাবে চাপ নিয়ে পড়তে হয় না।

আত্মবিশ্বাসই সফলতার মূলমন্ত্র উল্লেখ করে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, থেমে গেলে চলবে না। ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে, বিশ্বাস রাখতে হবে। যে সময়টা পাওয়া যায় তার পুরোটা সঠিক ব্যবহার করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে।

যারা বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে ফারজানা বলেন, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞানসহ যেসব বিষয়ের নির্দিষ্ট সিলেবাস আছে, সেসব বিষয়ের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির বোর্ড বই পড়তে হবে।

নিজের বিসিএস প্রস্তুতির অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ফারজানা বলেন, আমার হাতে সময় কম ছিলো, বিধায় আমি এসব বইয়ের (যেসব বিষয়ের নির্দিষ্ট সিলেবাস আছে) পৃষ্ঠা সংখ্যাকে আমার হাতে কত সময় আছে তা দিয়ে ভাগ করেছি। সময় এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা ভাগ করার পরে আমি প্রতিদিন যেকোনো মূল্যে আমার ভাগের নির্দিষ্ট পড়াটুকু শেষ করার চেষ্টা করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমি আরেকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতাম। রাতে যখন আমি পড়তাম তখন একটু জোরেই পড়তাম এবং একটা ডিভাইস দিয়ে পড়াগুলো রেকর্ড করতাম। একটা বিষয় পড়লেই তা মনে থাকে না, বারবার সে পড়া রিভিশন দিতে হয়। এজন্য সারাদিন কানে হেডফোন লাগিয়ে রাতের বেলায় রেকর্ড করা পড়াগুলো শুনতাম। অন্য সবাই কানে হেডফোন লাগিয়ে সারাদিন গান শোনে, কিন্তু আমি একই পদ্ধতি অনুসরণ করে আমার পড়াগুলো রিভিশন দেয়ার চেষ্টা করেছি। এজন্যই আজ আমি সফল। এছাড়া, যে সময়টা আমি ব্যস্ততার মধ্যে আছি, সে সময়টাকেও আমি কাজে লাগানোর চেষ্টা করতাম।

ফারজানা বলেন, পড়াশোনার সময়ে আমি যেমন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসকে পজেটিভলি ব্যবহার করেছি, সেভাবে সবার ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করি। এছাড়া পড়াশোনার সময়ে সব রকম ডিভাইস থেকে দূরে থেকে একাগ্রচিত্তে পড়লে সফলতা আসবেই।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত