জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু, থাকছে মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৩
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন ২১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে এবং পরীক্ষা আগামী ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ভর্তিতেও বহাল থাকছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পোষ্য কোটা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, আগ্রহী প্রার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ৭০০ টাকা আবেদনকৃত কলেজে (কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অথবা সরাসরি) ২ মার্চের মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই ভর্তি নির্দেশিকায় বিবৃত সব শর্ত মেনে অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
এদিকে ভর্তিতে বহাল থাকছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পোষ্য কোটা। বিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ সম্পর্কিত করণীয় অংশে কোটা নিয়ে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন/ভিন্নভাবে সক্ষম ও পোষ্য কোটায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক আবেদনকারীকে তথ্য ছকের নির্দিষ্ট স্থানে তার জন্য প্রযোজ্য কোটা ‘Select’ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, পোষ্য কোটায় শুধুমাত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তান/সন্তানাদি আবেদন করতে পারবে। কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত মূল সনদপত্র থাকতে হবে। একজন আবেদনকারী এক বা একাধিক কোটায় যোগ্য হলে কোটার পছন্দক্রম নির্ধারণ করে দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, কোটার জন্য সংরক্ষিত আসন বিষয়ভিত্তিক বরাদ্দকৃত আসনের অতিরিক্ত হিসাবে বিবেচিত হবে।’
জানা যায়, ভর্তি কার্যক্রমে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের উত্তর ১ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে দিতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ৪০ শতাংশ ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ৬০ শতাংশ যোগ করে সর্বমোট ২০০ নম্বরের মধ্যে মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
পরবর্তীতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে বিষয়ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের বিষয় বরাদ্দ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ থাকবে। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।
পরীক্ষার্থী প্রয়োজনে সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে তবে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবে না।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম