অনশনরত জবি শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৪০
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দাবিতে অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছেন।
৩১ ঘণ্টা ধরে গণ–অনশন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেন। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন অনুষদের ভবনে তারা তালা ঝুলিয়ে দেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে আটটায় শিক্ষার্থীরা গণ–অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
ক্যাম্পাসে দেখা গেছে, প্রধান ফটকের ‘পকেট গেট’ খোলা থাকলেও মূল অংশ বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিভাগে তালা দিয়েছেন।
এর মধ্যে রয়েছে- গণিত বিভাগ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলা বিভাগ।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না। আমরা গত রাতেই কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছি।
শিক্ষার্থীদের অন্য দুই দাবির মধ্যে রয়েছে- পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত আবাসনের ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বিকেলে শিক্ষক সমিতির অনশন ভাঙার অনুরোধ করলে তা প্রত্যাখান করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘একাত্মতা’ পোষণ করে অনশনে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম। তার সঙ্গে যোগ দেন প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকসহ কয়েকজন শিক্ষক।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আজ বিকেল চারটার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না এলে তারা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চলমান এ গণ–অনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও সর্বাত্মক একাত্মতা পোষণ করে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি