অটোরিকশা বন্ধে ভোগান্তিতে জাবি শিক্ষার্থীরা
নিশান খান, জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৭
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অটোরিকশা বন্ধ রয়েছে, এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত ১৯ নভেম্বর অটোরিকশা দুর্ঘটনায় জাবি ৫৩ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসানা করিমের নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০ নভেম্বর এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক ইত্যাদি যানবাহন ক্যাম্পাসে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২১ নভেম্বর থেকে ক্যাম্পাসে শাটল বাস চালু করলেও এ থেকে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে অটোরিকশা বন্ধ প্রসঙ্গে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহ জাবিন বলেন, আমাদের সময়ের অপচয় হচ্ছে, এত বিশাল ক্যাম্পাসে আমরা ক্লাসে অথবা কাঙ্খিত জায়গায় সহজে এবং দ্রুত যাতায়াত করতে পারছি না। দীর্ঘ পথ হাঁটতে হচ্ছে, যাদের ব্যক্তিগত বাহন (বাইসাইকেল/মোটরসাইকেল) নেই তাদের জন্য এটি আবার অত্যন্ত কষ্টদায়ক। ক্লাস, পরীক্ষা বা অন্যান্য কার্যক্রমে সময়মতো পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তাছাড়াও, শারীরিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেসব শিক্ষার্থীদের যেমন অন্ধ, প্রতীবন্ধী, অসুস্থ, বা শারীরিকভাবে চলাফেরা করতে অসুবিধায় আছেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত বড় একটি সমস্যা। শাটল বাস ও প্যডেল রিকশার অপর্যাপ্ততা আমাদের এই ভোগান্তিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। বিকল্প ও স্থায়ী ব্যবস্থা না নিয়েই এরকম অদ্ভূত সিদ্ধান্ত নেয়াতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছি। আমি এই সিদ্ধান্তকে নিরুৎসাহিত করি। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই এই সমস্যার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান করার জন্য।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাসফিয়া সারা চৌধুরী বলেন, অটোরিকশা নিষিদ্ধ করায়, সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনের সময়, জরুরি ভিত্তিতে ক্লাস বা মেডিকেল সেন্টারের যাবার জন্য অটোরিকশার বিকল্প ক্যাম্পাসে নেই। প্যাডেল চালিত রিকশা পরিমাণে অল্প, অত্যন্ত ধীরগতির এবং ভাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য তুলনামূলক অনেক বেশি। তাই, অটোরিকশা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে, নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়া উচিত।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাসফিয়া সারা চৌধুরী বলেন, অটোরিকশা নিষিদ্ধ করায়, সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনের সময়, জরুরি ভিত্তিতে ক্লাস বা মেডিকেল সেন্টারের যাবার জন্য অটোরিকশার বিকল্প ক্যাম্পাসে নেই। প্যাডেলচালিত রিকশা পরিমাণে অল্প, অত্যন্ত ধীরগতির এবং ভাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য তুলনামূলক অনেক বেশি। তাই, অটোরিকশা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে, নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়া উচিত।
আরেক শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পায়ে চালিত রিকশাভাড়া ২ থেকে ৩ গুণ যেখানে বঙ্গবাজার থেকে হলে আসি ৩০ টাকা দিয়ে, সেখানে হল থেকে গেরুয়ার ঢালে যেতেই টাকা লাগতেছে ৪০ টাকা। একে তো ভাড়া বেশি তার ওপর সময়ও লাগে প্রায় দ্বিগুণ। শাটল বাস দেয়া হলেও তা আজ পর্যন্ত আমার একটিবারও কাজে আসেনি।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়গুলো আমরাও বুঝি। আমরা পায়ে-চালিত রিকশার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে শাটল সার্ভিস থেকে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে, শিগগির শাটল বাস সার্ভিস বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। অটোরিকশা পুনরায় চালু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আপাতত অটোরিকশা পুনরায় চালুর কোন সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি