আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩৩ আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:০৬
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের মুখপাত্র বিন ইয়ামিন মোল্লা ভারত সরকারকে তাদের কার্যক্রমের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
সোমবার রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে 'দূতাবাসে হামলা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে','আর এস এসের কালো হাত, ভেঙে দাওগুড়িয়ে দাও', 'বিজেপির কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও',' উগ্রবাদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও,'সারা বাংলায় খবর দে,আগ্রাসনের কবর দে'।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা এবং জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদ জানান ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ভারত বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা করে এক নগ্ন ইতিহাস রচনা করেছে। ভিয়েনা কনভেনশনের বিপরীতে গিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। ভারত তাদের আচরণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা বিশ্বসভ্যতা এবং ভদ্রতাকে ধারণ করে না। ভারত সরকারকে তাদের এমন নির্লজ্জ আচরণের জন্য বাংলাদেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতের ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের সর্বত্র বিদ্যমান। ভারতের তৈরি মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ আমাদেরকে হত্যা করার জন্য ডাকসুতে হামলা করেছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় দেখা যায় সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো অনেক সামরিক লোক হিন্দিতে কথা বলছে। ভারতের অনুগত হাসিনাকে রক্ষা করতে বিজেপি সরকার তাদেরকে এদেশে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি না খেয়েও মারা যায়,তবু দেশকে বিক্রি করব না। ভারত বাংলাদেশে নিয়ে খেললে আমরা সেভেন সিস্টার নিয়ে খেলব। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হামলায় সেভেন সিস্টার চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের আরেক নেতা রাকিব হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর ভারত সোনার ডিম পাড়া হাঁস হারিয়েছে। এজন্য তারা সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে উগ্র আচরণ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ভারতকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমরা তাদের পেটে বসে আছি। আমাদের শান্তিতে থাকতে না দিলে তাদের কাশ্মীর, সিকিম, মণিপুর, হাইদ্রাবাদ উত্তাল হয়ে উঠবে। তিনি ভারতকে উদ্দেশ করে বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদে মসজিদ ভেঙে মন্দির বানাও তুমি, আর আমাকে ধর্মীয় সম্প্রীতি শেখাও, তোমাদের লজ্জা থাকা উচিত।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি