দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ
ক্লাস বর্জন করে অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫৬
ক্লাস বর্জন করে দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা দুর্নীতিতে জড়িত শিক্ষক অধ্যক্ষ অধ্যাপক লুৎফর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজে থেকে বের হয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর লুৎফর রহমানের পূর্বের দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৫-১৬ সালের দিকে প্রফেসর লুৎফর রহমান দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনা করেন। সেই সময় দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের একটি হোস্টেলে সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন। তারা আরও বলেন, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ একটি ঐতিহাসিক কলেজ হলেও এই কলেজের অর্থনৈতিক সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। কিছুদিন আগেও আন্দোলনের মুখে এই কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদা বেগম পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। তাই আমরা চাই না দ্বিতীয় কোন ফরিদা বেগমের স্থলাভিত্তি বাইরে থেকে কোন অধ্যক্ষ এই কলেজে আসুক।
আন্দোলনকারী ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, গত ১০ বছর পূর্বে এই দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান অধ্যাপক হিসেবে ছিলেন। সেই সময়ে তার অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা রয়েছে। তিনি বেশ কিছু টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং একসময় তিনি এই কলেজ থেকে সরি বলে চলে গিয়েছেন। তাই আমরা এই কলেজে কোন দুর্নীতিবাজ শিক্ষক কে অধ্যক্ষ হিসেবে এই কলেজে দায়িত্ব পালন করতে দেব না।
আন্দোলনকারী ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রোমানা আক্তার বলেন, আমরা জেনেছি এই অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান একসময় দুর্নীতি করে এই কলেজ থেকে বের হয়ে চলে গিয়েছেন। পুনরায় তিনি আবার অধ্যক্ষ হিসেবে এসেছেন, তিনি আবার দুর্নীতির সাথে জড়িত হতে পারেন। তাই আমরা কোন দুর্নীতিবাজ শিক্ষককে এখানে অধ্যক্ষ হিসেবে চাই না।
অধ্যক্ষ প্রফেসর লুৎফর রহমানের সাথে কথা হলে, তিনি বলেন, আমি গত ২৩ অক্টোবর দিনাজপুর মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। আমি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে পরিচয় পর্বে আমি বলেছি আমি নিজে দুর্নীতি করি না। আমি দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি এক সময় আমি হল সুপার থাকাকালীন সময়ে অন্য একটি হল থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। এবং সেই সময়ে হলের টাকা দিয়ে দিয়েছি। এখানে দুর্নীতি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমার বিরুদ্ধে হয়তোবা কোন শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে ভুল বুঝিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যেন ক্লাসে ফিরে আসেন সেই বিষয়ে আলোচনা করে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি