পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় কমিটি বাতিল ইস্যুতে ১৫১ আলেমের বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:২৪
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত কমিটি বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামপন্থি জনগণের নামে বিষোদ্গার করা হয়েছে অভিযোগ করে বিবৃতি দিয়েছেন ১৫১ জন আলেম। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিগত সরকার পাঠ্যপুস্তককে ঈমান হরণের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছিল। আমরা আশা করেছিলাম, পাঠ্যপুস্তকের পাতায় পাতায় অনু্প্রবেশ করা নগ্ন পশ্চিমা অপসংস্কৃতি এবার পুরোপুরি মুক্ত হবে।’
আরও বলা হয়, কিন্তু গভীর হতাশার সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করলাম, নতুন বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় কমিটিতেও পশ্চিমা সেই বস্তাপঁচা সংস্কৃতির ধারক ও বাহকেরা জেঁকে বসেছেন। সমন্বয় কমিটিতে বাম, সেক্যুলার, ইসলামবিদ্বেষী ও সমকামী সমর্থকরা থাকলেও ছিলেন না দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি।
এতে বলা হয়, ‘আমরা ইসলামপন্থি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নানা ধরনের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করি এবং কমিটি থেকে চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষী ও যৌন বিকৃতির সমর্থকদের অপসারণের দাবি জানাই। তারপর আমরা দেখতে পেলাম, খু্ব তড়িঘড়ি করে পুরো কমিটি বাতিল করা হলো, যা আমাদের দাবি ছিল না। বরং কমিটি গঠন ও বাতিলের পুরো প্রক্রিয়াটিই সন্দেহজনক।
এরপর আমরা গভীর বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আলেমসমাজ ও ইসলামপন্থিদেরকে ‘মৌলবাদী ও স্বার্থান্বেষী মহল’ ট্যাগ দিলেন। এ ছাড়া কিছু বাম ও ইসলামবিদ্বেষী সেকুলার ১২২ নাগরিকের বিবৃতির নামে মিথ্যার বেসাতি সাজালেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কারণে তারা আলেম সমাজ ও ইসলামপন্থি জনতাকে ফ্যাসিবাদের দোসর ট্যাগ দিলেন এবং ‘গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নস্যাৎ করার পাঁয়তারা’ বলে অভিহিত করলেন৷ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে এভাবে ট্যাগিং করা নিঃসন্দেহে ফ্যাসিবাদি আচরণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষ পাঠ্যপুস্তকে পশ্চিমা সংস্কৃতি চান না, ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কনটেন্ট চান না। এ অবস্থায় ইসলামিক স্কলারদের একটা টিম দিয়ে পাঠ্যপুস্তকগুলো রিভিউ করা অত্যন্ত জরুরি। এই টিম পাঠ্যপুস্তকে কোনো ইসলামবিদ্বেষী কনটেন্ট থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে৷ এই রিভিউ ছাড়া যদি বই বাজারে আসে আর সেখানে ট্রান্সজেন্ডারসহ পশ্চিমা অপসংস্কৃতি ও ইসলামের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক কনটেন্ট থাকে, তবে তীব্র জনরোষের সৃষ্টি হতে পারে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা এই অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা চাইবো, সরকার কিছু জনবিচ্ছিন্ন বাম ও ইসলামবিদ্বেষীর কথায় প্রভাবিত না হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিকে আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবেন।’
বিবৃতিদাতারা হলেন-
আল্লামা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন আব্দুল্লাহ জাফরী, প্রফেসর ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, মুফতী মুহা. কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, ড. গিয়াসউদ্দীন তালুকদার, ড. মুহাম্মদ গোলাম রববানী, ড. মীর মনজুর মাহমুদ,ডা. খলীলুর রহমান আল মাদানী, প্রফেসর ড. সায়্যেদ মাকসুদুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইউবী, প্রফেসর মুখতার আহমেদ, ড. ইউসুফ সুলতান, ড. মানজুরে এলাহি ,শায়েখ মুরতাজা হাসান ফয়জী, শায়েখ আহমাদুল্লাহ, ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম আল মাদানী, ড. রশিদ আহমদ, মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, ফখরুদ্দীন আহমাদ, মাওলানা আবদুল্লাহ আল-আমিন,মুফতি আমির হামজা, কামরুল ইসলাম সাইদ আল আনসারী, আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক, আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মহিউদ্দীন ফারুকী, আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী,প্রফেসর ড. সায়্যেদ মাকসুদুর রহমান,মুহাম্মদ হারুন আজিজী নদভী, ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, মাওলানা মোশতাক ফয়েজী, মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক কাসেমী, মুফতি মনোয়ার হোসেন, মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, সৈয়দ শামছুল হুদা, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ড. আবুল কালাম আজাদ মাদানী, ড. বি এম মফিজুর রহমান আল আজহারী, মুহাম্মাদ নূরুল্লাহ, মুফতী মুহাম্মাদ শামছুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি সাইফুল ইসলাম, মুফতি মুহাম্মদ নোমান কাসেমী, মুফতি জিয়াউর রহমান, মুফতী সাঈদ আহমাদ, মুফতি নুরুজ্জামান নাহিদ, মাওলানা আফীফ ফুরকান, মুহাদ্দিস মাওলানা আ.ন.ম. আকরাম হোসাইন, মাওলানা সিফাত হাসান, মাওলানা মুহিউদ্দীন,মুফতি আরিফ জাব্বার কাসেমী, মুফতি আবদুল গাফফার, মুফতী মুহাম্মদ আলী, নিজাম বিন মুহিব, মাওলানা যুবায়ের আহমাদ, মুস্তাফিজ রহমানী, মাওলানা আমজাদ হুসাইন, মাওলানা আমিন ইকবাল, ইমরান রাইহান, জহির উদ্দিন বাবর, নাজমুল হাসান, , ইউসুফ ওবায়দী, হাছিব আর রহমান, মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, আসআদ বিন সিরাজ, মাওলানা এহসানুল হক, ইয়াহইয়া তাকী, মো: মনিরুল ইসলাম মজুমদার, মুফতী জিয়া হাসান, মাওলানা ফখরুদ্দীন আহমেদ, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, সাদিকুর রহমান আল-আযহারী, মাওলানা লিয়াকত আলী, হাফেজ মাওলানা মুফতী আবু মুহাম্মদ রহমানী, সৈয়দ হাসান আল আযহারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমিন, মুফতী আব্দুল্লাহ মাসুম, মাওলানা আব্দুল কাহহার, শায়খ ড. আব্দুস সালাম আজাদী,মাওলানা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ ,মাওলানা বদরুজ্জামান, মাওলানা মুফতী আফিফ ফুরকান, মুফতী ড. খলীলুর রহমান, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, মুফতি মুহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ, হাফেজ হাবিবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল,মাওলানা মাকসুদ আল-আজমী, মাওলানা নাজমুল ইসলাম,মুফতি আম্মার বিন নূর, মাওলানা মির্জা আরাফাত, শাইখ সালাহউদ্দীন মাক্কী, শাইখ হাফিজুর রহমান সিদ্দীকি, মাওলানা উমায়ের বিন রশিদ, মোল্লা নাজিমুদ্দীন,মাওলানা আবদুস সালাম যুক্তিবাদী, উস্তায আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান, হাফেজ হাবিবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল, মুফতি জিয়াউর রহমান,মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা মীযান হারুন,মাওলানা এমদাদ হোসেন, মাওলানা হারুন আজীজী, মাওলানা নুরুল আকরাম ,মাওলানা রাফী বিন মুনির, মাওলানা গোলাম রব্বানী,মাওলানা মুস্তাফা,মাওলানা রুহুল আমিন সাদী (সাইমুম সাদী),শায়খ জামাল উদ্দীন,শায়খ জারির ইবনে আব্দুল্লাহ জাফরী, মুফতী নুরুন্নবী, মুফতী মাহমুদ হাসান, মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মুফতি আবদুল্লাহ মাসুম, মাহফুজুর রহমান, মুফতী গিয়াস উদ্দীন, মুফতী তানভীর আহমদ, মুফতী আল আমিন, মুফতী সুলাইমান খান, মুফতী সালমান শেখ, হাফেজ মাওলানা হাসানুজ্জামান, মাওলানা নজির হোসাইন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মুফতী আব্দুল্লাহ, মুফতী রফিকুল ইসলাম, মুফতী আবুল হাসান, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মুফতী ফাহিম আহমাদ, মাওলানা হাসান বনিক, মুফতী যোবায়ের হাসান, মাওলানা আল আমিন রংপুরী, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন, মুফতী মুহাম্মদ আলী যশোরী, মুফতী শরীফুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদ হাসান, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা সাব্বির আহমদ, মাওলানা আবুল কাসেম আদিল, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, মাওলানা এম হাসিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান কোব্বাদি, মাওলানা তকি, মুফতি মোহাম্মাদ উল্লাহ।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম