ইবিতে নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস: বিব্রত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

গত কয়েক মাসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) ভিসি এবং রেজিস্টারের কন্ঠসদৃশ অন্তত ১৭টি নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অডিওগুলোতে ভাইভার আগে চাকরির প্রশ্নফাঁস, অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন নিয়োগ ও টেন্ডার প্রদান, নিয়োগ বাণিজ্যের অর্থ রেডি রাখা এবং ব্যাংকে প্রদান, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ইত্যাদি বিষয়ের কথোপকোথন শোনা গেছে। নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত এসব একাধিক অডিও প্রকাশের পর দেশব্যাপী মানুষের মাঝে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

অডিও ফাঁসে দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি হুমকির মুখে পড়লেও এ নিয়ে প্রশাসনের তেমন কোনো মাথাব্যাথা নেই। অডিও ফাঁসের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দায়সারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও অদৃশ্য কারনেই বন্ধ হয়ে আছে কমিটির কার্যক্রম। কমিটি গঠনের তিন সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও তিন মাস পেরুলেও এখনো কোনো মিটিং হয়নি বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য ও শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান। তিনি বলেন, আহবায়ক মিটিং ডাকবেন তারপর কাজ শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনো চিঠি পাইনি।

সরকারি চাকরিতে বড় নিয়োগের ঘোষণা আসছে

এ বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে এখনো সেভাবে কাজ শুরু করতে পারিনি। খুব তারাতারি শুরু করবো।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এগুলো খুবই বিব্রতকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোটেই শুভকর নয়। এগুলার একটা সমাধান আসা উচিত। আমরা ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে জানিয়েছি ও তদন্ত চেয়েছি। কিন্তু এখনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি।

আরও পড়ুন: মেস মালিকের নির্যাতনের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, এসব অডিও শুনে সাধারন মানুষ মনে করছে ইবিতে সত্যিই নিয়োগ বানিজ্য চলছে। যা আমাদের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। খুব শীঘ্রই এসব অডিওর রহস্য উদঘাটন করা উচিৎ।

এগুলো অডিও যদি আপনার না হয় তাহলে যারা এসব অডিও প্রকাশ করছে তাদের বিরুদ্ধে কেন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেননা জানতে চাইলে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, নিয়োগ বোর্ড গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিছু অপশক্তি এসব বানোয়াট অডিও ছড়াচ্ছে। আমি তাদের শনাক্ত করতে না পারায় কোনো ব্যাবস্থা নিতে পারছিনা। সামনা সামনি আসুক আমি তাদের মোকাবিলা করবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই