ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

খুঁটিতেই সীমাবদ্ধ নির্মাণ কাজ, চার বছরেও হয়নি গেইট

  কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২২, ১৮:৩১

খুঁটিতেই সীমাবদ্ধ নির্মাণ কাজ, চার বছরেও হয়নি গেইট
ছবি- প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের খুঁটি নির্মাণ হওয়ার ৪ বছরেও হয়নি মূল গেইট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের নির্মাণ প্রকল্প থেকে হলের রাস্তা নির্মাণের বাজেট নির্ধারণ করায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার দপ্তর। গেইট না থাকায় নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালে শেখ হাসিনা হলের নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় প্রশাসন। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শুরু হয় তৎকালীন দত্ত হলে প্রবেশের রাস্তার উপর। পরে শেখ হাসিনা হলের বাজেট থেকে এই রাস্তা ও গেইট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১০০ ফিট রাস্তার জন্য ২৪ লক্ষ ২২ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা নির্মিত হলেও গেইটের স্থানে শুধুমাত্র দুটি খুঁটি রয়েছে।

হলে আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হলের গেইট থাকলেও এখন পর্যন্ত দত্ত হলে কোন গেইট নির্মাণ করা হয়নি, যা দায়িত্বহীনতার পরিচয়। ২০১৭ সালে হলের নতুন প্রবেশপথের জন্য পূর্ব-দক্ষিণ পাশে পাহাড় কেটে দায়সারাভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু প্রবেশমুখে গেইট নির্মাণের জন্য দুটি খুঁটি নির্মাণ করা হলেও পরবর্তীতে তা করেনি কতৃপক্ষ।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এম সাকিব হোসেন বলেন, হলের প্রবেশ মুখে গেইটের ২টি খুঁটি থাকায় বিষয়টি খুবই দৃষ্টিকটু দেখা যায়। হলের নিজস্ব কোন গেইট না থাকায় যত্রতত্র প্রবেশ করে বহিরাগতরা। যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে।

প্রকল্পের ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমিতো নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে পারি না। আমাকে যেভাবে নির্দেশ দেয়া হয় সেভাবে কাজ করি। এখানে যে টাকা খরচ হয়ছে সেটা পরবর্তীতে রিভাইজ বাজেট করা হয়ছে।

প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান নির্বাহী এস. এম. শহিদুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা হল দত্ত হলের রাস্তার উপর করা হচ্ছে এবং দত্ত হলের গেইটের জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তাই আমরা শেখ হাসিনা হলের টাকা থেকে এই রাস্তা করেছি।

তবে গেইটের খুঁটির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে যদি গেইট করতে চায় তাহলে যেন নতুনভাবে মাটি খনন করা না লাগে সেজন্য এইভাবে করে রাখা হয়েছে।

দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। গেইট নির্মাণের ক্ষমতা হল প্রশাসনের নেই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুততর সময়ে গেইট নির্মাণের ব্যবস্থা করতে। তারা আমাকে দ্রুত পরিকল্পনা দিয়ে দেবে। এরপর কাজ শুরু করার নির্দেশ দেবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত