ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রশাসনের অবহেলায় ভাঙনে জর্জরিত কুবির অভ্যন্তরীণ সড়ক

  কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:৫১

প্রশাসনের অবহেলায় ভাঙনে জর্জরিত কুবির অভ্যন্তরীণ সড়ক
ছবি: প্রতিনিধি

প্রশাসনের অবহেলায় ভাঙনে জর্জরিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অভ্যন্তরীণ সড়ক। নিয়মিত তদারকি না থাকা এবং নিয়ম ভঙ্গ করে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক প্রবেশ করানোয় বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত প্রায় বেশকিছু জায়গায় ভাঙন-ফাটল দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, মূল ফটকের সাথের আইলেনে, মুক্ত মঞ্চের সামনে, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে, শহীদ মিনারের কাছাকাছি স্থানে, জিরো পয়েন্টের পাশে এবং আরও কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এই ফাটল ও ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে অভ্যন্তরীণ সড়কটি বাস্তবায়ন করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। কিন্তু নির্মাণ শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় রাস্তায় ফাটল দেখা দেয়। পরে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে সমালোচনার মুখে ভাঙনের স্থানে ঢালাই দিয়ে রাস্তা মেরামত করে প্রশাসন।

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শিক্ষক ডরমিটরি এবং টিচার্স ক্লাবের নির্মাণসামগ্রী আনা-নেয়ার কাজে নিয়মিত অতিরিক্ত বোঝাই ট্রাক ভেতরে প্রবেশ করে। ফলে বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আইন বিভাগের ১১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, গেইট থেকে শহীদ মিনারের রাস্তাটি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তায় ফাটল ধরেছে, ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা নির্মাণ মানসম্মত না হওয়ায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি নবনির্মিত টিচার্স ডরমেটরি এবং বঙ্গবন্ধু হলের নির্মাণসামগ্রী এই রাস্তা দিয়ে পারাপার করায় সব সময়ই চলাচল করছে ভারী পরিবহন। এখন কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে পরে ভোগান্তিতে পড়বে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সহযোগী প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের এই রাস্তা নিয়ে সমস্যা হওয়ার মূল কারণ হলো রাস্তাটির পুরুত্ব কম দেয়া হয়েছে। বাজেট অনুযায়ী এর পুরুত্ব ৮ ইঞ্চি দেয়ার কথা ছিলো, কিন্তু প্রকল্পের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় দেয়া হয়েছে ৫ ইঞ্চি। এছাড়াও এই রাস্তায় নিয়মিত চলাচল করছে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস এবং নবনির্মিত ভবনগুলোর আসবাবপত্র বহনকারী ভারী পরিবহন। যার ফলে রাস্তার এই বেহাল দশা। এখন ভবনগুলোর কাজ শেষ হলে আমরা রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবো।

তবে রাস্তার তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট নিয়মনীতি না মানায় এবং দায়িত্বে অবহেলায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি এর দায়ভার নিতে গড়িমসি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, এই বিষয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ভালো জানবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, আমি অল্প কিছুদিন আগে যোগদান করায় এসব বিষয়ে অবগত নই। তবুও আমরা একটা ডাটাবেইজ তৈরি করে কোথায় কি সমস্যা তা সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত