ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইএফটির নামে প্রাথমিক শিক্ষকদের থেকে চাঁদা আদায়

  আসিফ কাজল

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৫৮

ইএফটির নামে প্রাথমিক শিক্ষকদের থেকে চাঁদা আদায়
প্রাথমিক শিক্ষক। ফাইল ছবি

কচুয়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা ১২০০। এসব শিক্ষকের বেতন ইএফটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রতি শিক্ষকের থেকে ১২০ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। অথচ শিক্ষকের বেতন ইএফটি অন্তর্ভুক্ত করতে অর্থলেনদেনের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় চলছে লাখ টাকার চাঁদাবাজি।

উপজেলার একাধিক শিক্ষক বাংলাদেশ জার্নালের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্কুলের শিক্ষক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমাদের উপজেলায় ৬ জন শিক্ষক ইএফটিতে শিক্ষকদের তথ্য অন্তর্ভুক্তিতে কাজ করেছেন। মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা এসব শিক্ষকের তাদের পরিশ্রমের জন্য টাকাও দিতে চেয়েছি। কিন্তু এ কাজে অন্যান্য উপজেলায় সহকারি শিক্ষকদের থেকে মাত্র ৫০ টাকা চাঁদা নেয়া হলেও আমাদের থেকে ১২০ টাকা চাঁদা নেয়া হচ্ছে। যার ১০০ টাকা ওই ৬ জন শিক্ষকের জন্য বাকি ২০ টাকা অফিস খরচ বাবদ রাখা হচ্ছে।

এখানে অফিসের জন্য আমরা কেন টাকা দেব বলে প্রশ্ন করেন তারা।

জানতে চাইলে কচুয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এইচ এম শাহরিয়ার রসূল বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আপনাকে যারা জানিয়েছে ঘটনাটি পুরোপুরি সত্য নয়। আমার উপজেলার শিক্ষকরা দুমাস ধরে ইএফটির মাধ্যমে বেতন তুলছেন। আপনাকে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে।

তবে অফিস খরচের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

ইএফটিতে শিক্ষকের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কাজ করেছেন আব্দুল আওয়াল। শিক্ষকদের চাঁদা ও অফিস খরচের বিষয়টি বাংলাদেশ জার্নালের কাছে স্বীকার করে আব্দুল আওয়াল বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের জন্য ২০ টাকা ও আমাদের কাজের জন্য ১০০ টাকা চাঁদা দেয়ার বিষয়টি শিক্ষকদের জানানো হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক শিক্ষক বলেন, এই টাকার ভাগ শিক্ষক নেতারাও নিচ্ছেন।

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কচুয়া উপজেলা সভাপতি তাজুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এমন ঘটনা হতাশাজনক। অধিদপ্তর থেকে একাধিক মিটিংয়ে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বার বার এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে যেনো এমন কাজ না ঘটে।

‘আমি খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনা সত্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে’ বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত