প্রাথমিক শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড নিতে অনুমতি লাগবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১০:১৯
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সার্ভিস বুকে উচ্চতর শিক্ষাগত ডিগ্রি যুক্ত হচ্ছে। তবে কেউ চাকরিতে যোগদানের পর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চাইলে তাকে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজমা শেখ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাধারণত চাকরিতে যোগদানকালে যে সকল সার্টিফিকেট জমা দেন তা সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করলে তাও সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষক অধ্যয়নরত থাকাকালীন চাকরিতে যোগদান করেছেন এবং পরবর্তীতে চাকরিরত অবস্থায় অধ্যয়ন সম্পন্ন করেছেন।
অনেক শিক্ষক নৈশকালীন বা খণ্ডকালীন কোর্স সম্পন্ন করেছেন কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে যদি কোনো শিক্ষক শিক্ষাগত যোগ্যতা অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন তবে উক্ত যোগ্যতা সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
এ অবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসমূহ যাচাই করে সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়। তবে, এখন থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
আগে প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষকদের অ্যান্ট্রি পদে নারীদের জন্য উচ্চমাধ্যমিক ও পুরুষদের জন্য স্নাতক ডিগ্রির যোগ্যতা নির্ধারণ করা ছিলো। এই পদে আবার ৬০ শতাংশ শিক্ষকই নারী। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে নারীদের একটি বড় অংশ এই চাকরিতে আসেন। পরে আবার অনেকে ডিগ্রি ও মাস্টার্স করেন।
সহকারি শিক্ষকদের নতুন নিয়োগ বিধি-২০১৯ অনুযায়ী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি। তাই স্নাতক হয়েও অনেক নারী শিক্ষক সরকারি কাগজে-কলমে এখনও উচ্চমাধ্যমিক পাস। এ কারণে সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও এই শিক্ষকরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘এই দাবিটি আমাদের দীর্ঘদিনের। অবশেষে পূরণ হয়েছে।’
‘চাকরিকালীন অর্জিত সার্টিফিকেটগুলো অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এখন শতভাগ ডিগ্রিধারী শিক্ষক পেল। সরকারি এই আদেশের মাধ্যমে দেশের প্রায় দেড় লাখ শিক্ষক তাদের অনুমতি ছাড়া অর্জিত সনদ সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করার সুবিধা পাবেন’ বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ