প্রাথমিক শিক্ষকদের অন্যরকম সুখবর, আদেশ জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৩৭
অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। এখন থেকে তাদের সার্ভিস বুকে উচ্চতর শিক্ষাগত ডিগ্রি যুক্ত হবে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশও জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!
আদেশে বলা হয়, চাকরিতে যোগদানের সময় প্রাথমিকের শিক্ষকরা যে সকল সার্টিফিকেট জমা দেন সেগুলো সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা/প্রশিক্ষণ অর্জন করলে সেটাও সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু কিছু শিক্ষক রয়েছেন যারা অধ্যয়নরত থাকা অবস্থায় চাকরিতে যোগদান করেছেন এবং চাকরিরত অবস্থায় অধ্যয়ন সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও কিছু শিক্ষক রয়েছেন যারা নৈশকালীন/খণ্ডকালীন কোর্স সম্পন্ন করেছেন কিন্তু অসচেতনতার কারণে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেননি।
কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া যদি কোনো শিক্ষক শিক্ষাগত যোগ্যতা/অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন তবে তাকে উক্ত সব অর্জন সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন!
এমতাবস্থায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসমূহ যাচাই করে সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হল। তবে, এখন থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতি অবশ্যই নিতে হবে।
আগে প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষকদের অ্যান্ট্রি পদে নারীদের জন্য উচ্চমাধ্যমিক ও পুরুষদের জন্য স্নাতক ডিগ্রির যোগ্যতা নির্ধারণ করা ছিলো। এই পদে আবার ৬০ শতাংশ শিক্ষকই নারী। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে নারীদের একটি বড় অংশ এই চাকরিতে আসেন। পরে আবার অনেকে ডিগ্রি ও মাস্টার্স করেন।
প্রাথমিকে নিয়োগ: বিজ্ঞপ্তি বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
সহকারি শিক্ষকদের নতুন নিয়োগ বিধি-২০১৯ অনুযায়ী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি। তাই স্নাতক হয়েও অনেক নারী শিক্ষক সরকারি কাগজে-কলমে এখনও উচ্চমাধ্যমিক পাস। এ কারণে সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও এই শিক্ষকরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘এই দাবিটি আমাদের দীর্ঘদিনের। অবশেষে পূরণ হয়েছে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সড়কে শিক্ষার্থীরা
‘চাকরিকালীন অর্জিত সার্টিফিকেটগুলো অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এখন শতভাগ ডিগ্রিধারী শিক্ষক পেল। সরকারি এই আদেশের মাধ্যমে দেশের প্রায় দেড় লাখ শিক্ষক তাদের অনুমতি ছাড়া অর্জিত সনদ সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করার সুবিধা পাবেন’ বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ