ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ৮ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

এক সপ্তাহেই ভোজ্য তেলের অস্থিরতা কেটে যাবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৩

এক সপ্তাহেই ভোজ্য তেলের অস্থিরতা কেটে যাবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সংগৃহীত ছবি

সরকার ভোজ্য তেলের অস্থিরতা নিরসনে কাজ করছে উল্লেখ করে বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বন্দর থেকে শুরু করে খাতুনগঞ্জ সবখানেই তেলের মজুদ যাচাই-বাছাই ও মটিনরিং চলছে। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্য তেলের অস্থিরতা কেটে যাবে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) খুলনায় দৌলতপুর জুট মিল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন ওই উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকল আর সরকারিভাবে চালুর কোনো সুযোগ নেই। বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আগের সরকারের করা পাটকল লিজ নীতিমালা পরিবর্তন করা হচ্ছে। যেখানে বিজিএমসির মিলগুলিতে পাটের পাশাপাশি অন্য পণ্য উৎপাদনের সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এরফলে স্তিমিত থাকা পাটকল লিজ প্রক্রিয়া গতি পাবে, সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।

উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামে অবস্থিত বন্ধথাকা সরকারি টেক্সটাইল মিল বেসরকারি খাতে লিজের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লিজগ্রহীতা হিসেবে ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এ সপ্তাহে আরও তিনটি মিল লিজ প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।

তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালুর ক্ষেত্রে কেবল হাজার কোটি টাকা লোকসান ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফলপ্রসূ কিছুই হয়নি। তাই সরকারের মালিকানায় থাকা জুট ও টেক্সটাইল মিলগুলো ব্যক্তিখাতে ছেড়ে দেয়ায় পরিকল্পনা রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে বিদ্যমান সব পাটকল চালু রাখতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন পাটের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পাটের উৎপাদন কেবল ১২ লাখ মেট্রিক টন। উপরন্তু সারাবিশ্বে বার্ষিক পাটের উৎপাদন মাত্র ২৫ লাখ মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে কেবল পাট দিয়ে এতগুলো প্রতিষ্ঠান চালু রাখা বাস্তবসম্মত নয়। তাই পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে পাট শিল্পের পাশাপাশি অন্য শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ রাখা হচ্ছে।

বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরও বলেন, খুলনার দৌলতপুর জুট মিলটি বেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়ায় প্রায় ৭০০ লোকের কার্মসংস্থান হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে এখানে আরও তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও বলেন, এ ধরণের সফল উদ্যোগ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে। মিলটিতে বেসরকারি উদ্যোগে পাটপণ্য এবং জুতোর উৎপাদন একসঙ্গে চালু রেখে ইতিবাচক ও লাভজনক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সরকারিভাবে বাস্তবায়ন ততটা ফলপ্রসূ হয় না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত