বেক্সিমকোর সংবাদ সম্মেলন
বন্ধ কারখানা খোলার দাবি, সরকারের হস্তক্ষেপ চান শ্রমিক-কর্মচারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৪ আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:২০
ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর অনুমতি চেয়ে বন্ধ কারখানাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বেক্সিমকোর তৈরি পোশাক কারখানা ও টেক্সটাইল বিভাগের কর্মী ও প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তা সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানিয়েছেন।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ থাকা ১৬ কোম্পানির মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যর সঙ্গে সম্পৃক্ত ১১টি কারখানা ‘মানবিক কারণে’ সচল রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
বেক্সিমকো গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ বলেছেন, আমরা শ্রমিক-অফিসাররা পেটের দায়ে আপনাদের কছে এসেছি। সরকারের কাছে অনুনয়, বিনয় করে বলতে চাই, সরকার বেক্সিমকোতে হস্তক্ষেপ করুক। কারখানা খুলে দিয়ে আমাদের চাকরি বাঁচান।
এই দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের একদল কর্মী। তাদের বক্তব্য, মালিকপক্ষকে জানিয়েই তারা সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন।
সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ অবিলম্বে তাদের কারখানাগুলো খুলে দিয়ে ‘৪২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও ১০ লক্ষ মানুষের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি প্রধানত তিনটি দাবির কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো:
অবিলম্বে লে অফ প্রত্যাহার করে বেক্সিমকোর সকল কারখানা খুলে দিতে হবে, রপ্তানি বাণিজ্য শুরু ও বিদেশ থেকে কার্যাদেশ প্রাপ্তির সুবিধার্থে বন্ধ রাখা ব্যাংকিং কার্যক্রম ও ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার অনুমতি অবিলম্বে দিতে হবে, কারখানা ও ব্যবসা চলমান রেখে সকল বকেয়া বেতন এবং কোম্পানির দায় দেনা পরিশোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এনাম উল্লাহ বলেন, সরকার যেভাবে চাইবে, প্রতিষ্ঠান সেভাবে চালাক। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিক। কারখানা চালু থাকলে ধীরে ধীরে সবার পাওনা দিতে পারবে।
গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে অস্থিরতা চলছে। শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অধিকাংশ কারখানা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ গ্রুপের তিন কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও শাইনপুকুর সিরামিকসই কেবল সরকারের হস্তক্ষেপে সচল রয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও উপদেষ্টা। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে গ্রুপটির বেশিরভাগ উদ্যোক্তা আত্মগোপনে রয়েছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি