ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

শিশু শিল্প সুরক্ষার দিন কিন্তু চলে গেছে: অর্থ উপদেষ্টা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৫

শিশু শিল্প সুরক্ষার দিন কিন্তু চলে গেছে: অর্থ উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

কর ও নীতি সুবিধা পেয়েও দেশীয় শিল্প এখনো শিশুই রয়েছে মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যবসায়ীরা কিছুদিন ব্যবসা করার পর বলেন আমাদের কর অব্যাহতি দেন। শারীরিকভাবে বড় হয়ে গেছে তারপরও এখনো সুরক্ষা চাচ্ছে তারা। এই সুরক্ষার দিন কিন্তু চলে গেছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সেমিনারে তিনি ব্যবসায়ীদের এসব কথা বলেন।

শিল্প বা ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ না করে সালেহউদ্দিন বলেন, আমরা ৫০ বছর যাবত বহু শিশুকে লালন করেছি কর অব্যাহতি ও নানান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। আর কতকাল শিশুদের লালন করবো। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছে। এসব সুরক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে, প্রতিযোগিতামূলক হতে পারবো না।

কর, মূসক ফাঁকি দিলে সার্বিক অর্থনীতিতে একটা প্রভাব পড়ে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দাতাসংস্থাগুলো ট্যাক্স, জিডিপি রেশিও কর অব্যাহতি নিয়ে প্রশ্ন করছে। বিদেশের বহু জায়গায় বাংলাদেশে ট্যাক্স রেভিনিউ, সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে বহু প্রশ্ন করা হয়।

কর্মকর্তাদের আরও বেশি বন্ধুসুলভ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একেবারে জোর করে আদায় করবেন। যদি অসুবিধা হয় শুনবেন। কমপ্লায়েন্স করতে একটু সহযোগিতা করবেন। বিশেষভাবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের বিষয় সরকার বিবেচনা করবে।

এনবিআরের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীরা আমার কাছে গেলেই এনবিআর নিয়ে অভিযোগ করে। আমি যখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ছিলাম তখনও তারা অভিযোগ করতো। আমাদের এটা করতে হবে, ওটা করছে না। এনবিআরের সীমাবদ্ধতা আছে। তাদের কতগুলো ম্যান্ডেট আছে। চাইলেই সব তো দিয়ে দেওয়া যাবে না। নাথিং ইজ ফ্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। বিনা পয়সায় কোনো কিছু, পশ্চিমা দেশে বাবা-মাও সন্তান একটু বড় হলে টাকা-পয়সা দেয় না। বিনা পয়সায় কিছুই দেয় না।

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে থাকলে প্রায়োরিটি খাতে খরচ কমানো হবে জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে আছি। ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও, কর ও ভ্যাট বাড়ানোর কথা বলছি, খরচ কমানোর কথা বলছি। আবার ওইদিকে বলছি প্রায়োরিটি সেক্টরে খরচ কমাবো না। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যাতায়াতে খরচ কম হবে না। আমরা টাকা কোথায় পাবো। ওখানে বাড়াতে হলে আমাদের রাজস্ব আদায় করতে হবে তো। এটা আমাদের বিবেচনায় আছে। মানুষের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিও আছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল হক প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআর সদস্য (মূসক নীতি) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত