ঢাকা, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

কোনো কারণ ছাড়াই চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৪:৫৮

কোনো কারণ ছাড়াই চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত
প্রতীকী ছবি

কোনো কারণ ছাড়াই দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। ঈদের আগে যশোরে বাসমতি চাল বিক্রি হয় ৭৪ টাকা কেজিতে। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৮৪ টাকা। এ ছাড়া প্রকারভেদে ২ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মিনিকেট, আটাশ, কাজললতা, স্বর্ণাসহ বিভিন্ন চালের দাম।

কিন্তু মিল মালিকদের দাবি, ধান সংকট ও ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন সংকট নয়, অটোমিল মালিকদের কারসাজিতেই নিয়ন্ত্রণ নেই চালের বাজারে।

তবে কৃষি বিভাগের হিসাবে, গত মৌসুমে যশোরে ১১ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত। চালের দাম বৃদ্ধির জন্য অটোমিল মালিকদের কারসাজিকে দুষছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মীর বদরুল আলম বলেন, ‘এখন ধানটা তারা (অটোমিল মালিকেরা) বেশি দাম দিয়ে কালেকশন করবে। এরপর তাদের নিয়ন্ত্রণে যখন ধানটা চলে আসবে তখন আরও বেশি মুনাফা রেখে বিক্রি করবে।’

এদিকে, কুষ্টিয়াতে মিনিকেটসহ সব চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখনই মজুতদারদের লাগাম টেনে ধরা জরুরি। এছাড়া দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জয়পুরহাটে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

নওগাঁর বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা ৫০ টাকা থেকে ৫৩, কাটারি ৬০ থেকে ৬৪ এবং জিরা ৬০ থেকে বেড়ে ৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ঈদের আগে ও পরে মিল কারখানা বন্ধ থাকা এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে।

অন্যদিকে, দেশের অন্যতম খাদ্যভান্ডার দিনাজপুরের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলগেটে ৫০ কেজির প্রতিবস্তা চাল দেড়শ থেকে দু’শ টাকা বেশিতে কিনতে হচ্ছে। অথচ এবার জেলায় ৮ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত