কৃষকের দামে তরমুজ মিলছে রাজধানীর ৫ জায়গায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ২১:০০
‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগানে রাজধানীতে তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে। রাজধানীর পাঁচটি স্থানে এই কার্যক্রম চলছে। স্থানগুলো হলো- খামারবাড়ির বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। বাংলাদেশ অ্যাগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় এই কার্যক্রম চলছে।
বাফা নেতারা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কৃষকের দামে পাঁচ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, সাত কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, নয় কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করছেন। ২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে এবং পরবর্তী সময়ে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে তরমুজ বিক্রির প্রথম দিনে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এদিন পাঁচটি স্থানে ২ হাজার ৫০০টি তরমুজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।
রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষক অনেক পরিশ্রম করে এই তরমুজ চাষ করেন। সেই কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাফা নেতারা আমার সঙ্গে যখন পরামর্শ করতে এলো, তখন আমি তাদের বললাম, ভোক্তারা তরমুজ খেতে চায়, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কিনতে পারছেন না। আপনারা উদ্যোগ নিন। এরপর তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। আপনারা গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরও বেশি করে তুলে ধরুন। কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি ভাঙতে আমরা দেরি করব না।
মন্ত্রী বলেন, সরকার তো জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারাদেশে একসঙ্গে নেয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য যতটুকু পারছি কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসএ