শীতে কাঁপছে ফরিদপুর, বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৬ আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫২
ঘন কুয়াশার সঙ্গে তীব্র শীত বয়ে চলেছে ফরিদপুরে। সেই সঙ্গে ঝিরঝির বৃষ্টির মতো কুয়াশা শুরু হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। পেঁয়াজ চাষীরাও উৎকণ্ঠায় আছেন। হঠাৎ এমন আবহাওয়ায় পেঁয়াজের চারার মারাত্মক ক্ষতি হবে এমনটি আশঙ্কা করছেন পেঁয়াজ চাষীরা।
জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে এসে দক্ষিণের জেলা ফরিদপুরে জেঁকে বসেছে এমন শীত। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই মানুষের।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) ফরিদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই জেলাটিতে তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। গত চার দিন ধরে অধিকাংশ সময়ই আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। একই সঙ্গে রোববার ভোর থেকে নামছে তুষারের মতো কুয়াশা। মাঝেমধ্যে একটুআধটু সূর্য উঁকি দিলেও অধিকাংশ সময়েই দেখা নেই সূর্যের। ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ।
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে দিনমজুর ও খেটেখাওয়া মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের তীব্রতা থেকে মুক্তি পেতে অনেককে খড়কুটো জ্বালাতে দেখা গেলেও জেলা প্রশাসন থেকে শীতার্তদের তেমন সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি।
কৃষক মনির হোসেন, সাদেক খাঁন ও ইয়ার আলী বলেন, ‘অনেক ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশার সঙ্গে পড়ছে বরফের মতো বৃষ্টি। সন্ধ্যার পর ঠাণ্ডার দাপটে ঘর থেকে বেরোনো যাচ্ছে না। সকাল-সন্ধ্যা খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে। হতদরিদ্র লোকজনের অবস্থা চরম শোচনীয় হয়েছে। এছাড়া আমাদের রোপণকৃত পেঁয়াজের হালিতে (চারা) পঁচন দেখা দিচ্ছে।’
ফরিদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফরিদপুরে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এমন অবস্থা আরও দু'দিন থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি