ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, স্থবির জনজীবন

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৯

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, স্থবির জনজীবন
ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ। ছবি: প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি নিশ্চিত করে জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত সপ্তাহ থেকে মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য। কুয়াশার কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রাও নিম্নমুখী। শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চারপাশ ঘন কুয়াশায় আবৃত ভোর থেকেই। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। একদিকে তীব্র শীত, আরেকদিকে ঘন কুয়াশার আঁধার। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন-আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছেন অনেকে। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। নিম্ন-আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। রাস্তায় চলা ভবঘুরে মানুষও পড়েছে দুর্ভোগে।

নারী পাথর শ্রমিক কদবানু, হাজেরা খাতুন ও ফিরোজা খাতুন বলেন, কুয়াশার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে। পাথরের কাজ করি। শীতের কারণে পাথরও উঠছে কম। আমরা গরীব মানুষ। পেটে তো ভাত দিতে হবে। গত দুইদিন ধরে কাজ করতে পারিনি। আজ বাধ্য হয়েই কাজে বেরিয়েছি।

দিন মজুর আবু সায়েদ ও আয়নাল হক বলেন, খুব ঠান্ডা। কিন্তু কি করবো। দিন মজুরি করে সংসার চলে। তাই কুয়াশা আর ঠান্ডার মধ্যেই কাজ করতে যাচ্ছি। কাজ না করলে চলমু কেমন করে।

ইজিবাইক চালক হামেদ আলী ও ভ্যান চালক আলী হাসান বলেন, একদিকে ঠান্ডা, তার মধ্যে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চায় না কেউ। তাই ভাড়া মারতে পারছি না। কয়েকদিন ধরেই ভাড়া নেই। গতকাল সারাদিনে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া মারছিলাম। এটা দিয়ে কি সংসার চলবে। কুয়াশার মধ্যেই সকালে ভ্যান নিয়ে বের হলাম। আল্লাহর রহমত থাকলে কামাই হবে।

জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, রোববারও ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্যের। আজ ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা আর উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বিকেলে সূর্য দেখা গেলেও রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত