উত্তরা পশ্চিম থানা ভবনের জন্য জমি বরাদ্দের দাবিতে মানবন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৪৮ আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৫৪
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা থানার নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর সোনারগাঁও জনপথ রোডের ৩১, ৩৩ ও ৩৫ নং প্লট বরাদ্দের দাবিতে মানববন্ধন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উত্তরা চৌরাস্তা সোনারগাঁ জনপথ জমজম টাওয়ারের পশ্চিম পাশে এই কর্মসূচির আয়োজন করে উত্তরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
তাদের আন্দোলনের মূল দাবি হচ্ছে....
উত্তরা পশ্চিম থানা ভবন নির্মাণের জন্য সেক্টর-১৩ সোনারগাঁও জনপথ রোডের ৩১,৩৩,ও ৩৫ নং প্লট বরাদ্দ দেয়া।
প্লট বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত ২৫ অক্টোবর নিলাম কার্যক্রম বাতিল করতে হবে। আবাসিক এলাকায় কোনো থানা ভবন থাকতে পারবে না। থানা নির্ধারিত স্থানে দ্রুত স্থানান্তর করতে হবে।
মেট্রোরেল কার্যক্রম চালু হলে উত্তরা এলাকায় বহু সংখ্যাক মানুষের সমাগম হবে। মেট্রোরেল চালুর পূর্বেই উত্তরা পশ্চিম থানার নামে জায়গা বরাদ্দ দিয়ে থানা দ্রুত স্থানন্তর করতে হবে।
উত্তরা পশ্চিম থানার নামে জমি বরাদ্দ কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান এলাকাবাসী।
ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিব হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৯ অক্টোবর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান বরাবর আমার স্বাক্ষরিত ডিও লেটার দেয়া হয়েছে। সেখানে উত্তরা পশ্চিম থানার নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ৩১, ৩৩ ও ৩৫ এর মোট ৩০ কাঠা জমি বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে। থানাটি যাতে নিজস্ব ভবনে যেতে পারে সেজন্য সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, উত্তরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মানববন্ধন ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিজ উদ্যোগে করছে। এখানে সাধারণ জনগণ সম্পৃক্ত।
তিনি আরও বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানার নিজস্ব জমি না থাকার কারণে বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে ২০১২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করে। বিল্ডিংটি ছোট ছোট কক্ষ ও পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। একদিকে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব অন্যদিকে গার্ড রুম ও অস্ত্র গোলাবারুদ রাখার স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেই। গুরুত্বপূর্ণ মামলার রেকর্ড, আলামত জব্দকৃত গাড়িগুলো থানার আশপাশে রাস্তায় রাখায় তীব্র যানজট লেগেই থাকে।
এছাড়া থানায় অফিসার, ফোর্স ও আনসার সদস্যসহ মোট ২০০ জন কর্মরত রয়েছেন। ব্যারাক না থাকায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বর্তমান থানা ভবনের আশপাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/এমএম