ঢাকা, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যুতে বিচার শেষ হয়নি চার বছরেও

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ১৩:৩৭

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যুতে বিচার শেষ হয়নি চার বছরেও
ছবি: সংগৃহীত

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যুর চার বছর পূর্তি আজ শনিবার। ২০২০ সালের ২৯ জুন বুড়িগঙ্গায় মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। এ ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করে নৌ-পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০২১ সালে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ঘটনার চার বছর পার হলেও এখনও শেষ হয়নি বিচার।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার বলেন, মামলটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ৩৬ সাক্ষীর জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। এখন আসামিরা সাফাই সাক্ষী দেবে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেরা করা হবে। আশা করছি, বিচার শেষে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে।

বর্তমানে মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিনের আদালতে বিচারাধীন। আগামী ৪ জুলাই এ মামলায় আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষীর দিন ধার্য করা হয়েছে। সাফাই সাক্ষী শেষে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হবে। এরপর আদালত রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন।

২০২০ সালের ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটে পৌঁছানোর আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। এতে মর্নিং বার্ডের ৩৪ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার ৩০ জুন রাতেই নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার এসআই মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্ত করে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল আলম ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

মামলার আসামিরা হলেন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা, সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, সুকানি নাসির হোসেন মৃধা, গিজার হৃদয় হাওলাদার, সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, সেলিম হোসেন হিরা, আবু সাঈদ ও দেলোয়ার হোসেন সরকার। সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছে।

ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদের আইনজীবী সুলতান নাসের বলেন, এ মামলায় ৩৬ জন সাক্ষীর কেউ বলতে পারেননি, কোন লঞ্চ কাকে ধাক্কা দিয়েছে। তারা শুধু ডুবতে দেখেছে। সব আসামি সাফাই সাক্ষী দেবে। তাই প্রত্যাশা করছি, তারা খালাস পাবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত