ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ৪৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

উন্নয়ন অন্বেষণের বাজেট পর্যালোচনা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০১৯, ১৮:৪২  
আপডেট :
 ১৪ জুন ২০১৯, ১৮:৪৩

উন্নয়ন অন্বেষণের বাজেট পর্যালোচনা

অর্থনৈতিক খাতসমূহের ভারসাম্যহীনতা সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা প্রকটতর করবে। সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিরতা ও জনগণের সেবাপ্রাপ্তির দুষ্প্রাপ্যতা সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাজেটে দেখা যাচ্ছে না।

স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’ এর ২০১৯-২০ সালের বাজেট পর্যালোচনায় উঠে এসেছে যে, অর্থনৈতিক খাতসমূহের ভারসাম্যহীনতা সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা প্রকটতর করবে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ঘোষিত বাজেটে সর্বজনের কথা বলা হলেও বাস্তবে গোষ্ঠীতন্ত্রের স্বার্থ হাসিল হবে। বাজেটে জনগণের মৌলিক সমস্যা সমাধানের পর্যাপ্ত দিক-নির্দেশনার অভাব রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য, অসমতা, বেকারত্ব, সামাজিক নিরাপত্তার মতো মৌলিক খাতগুলো অবহেলিত রয়েছে।

সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিরতা ও জনগণের সেবাপ্রাপ্তির দুষ্প্রাপ্যতা সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এই বাজেটে লক্ষণীয় নয়। বরং অর্থনীতি ক্রমাগত একটি ঋণ চক্রজালে জড়িয়ে পড়ছে।

জাতীয় আয়

উন্নয়ন অন্বেষণের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে যে, জাতীয় আয়ের হিসেবে গড়মিল লক্ষণীয়। সামষ্টিকভাবে জাতীয় আয় বৃদ্ধির কথা বলা হলেও এর চলকগুলোর চিত্র ভিন্ন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির তুলনায় সঞ্চয় বেড়েছে সামান্য। ফলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেনি। অপরদিকে মানুষের আয় বাড়লে ভোগ বাড়ার কথা। কিন্তু সরকারী ও বেসরকারী উভয় খাতেই ভোগ কমেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপির অংশ হিসেবে বেসরকারী সঞ্চয় ছিল ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ হয়েছে।

অপরদিকে জাতীয় সঞ্চয়ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির অংশ হিসেবে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বেড়েছে ০ দশমিক ১৪ শতাংশ। সঞ্চয় ও বিনিয়োগের এই বৃদ্ধি জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধির তুলনায় সামান্য। সরকারী ভোগ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ হয়েছে। বেসরকারি ভোগ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৭০ দশমিক ৮১ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ হয়েছে। জাতীয় আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধির সাথে মিল রেখে ভোগও বাড়ার কথা।

ভারতের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরবিন্দ সুভ্রামানিয়ানের গবেষণার বরাত দিয়ে উন্নয়ন অন্বেষণ বলছে, ভারতে জিডিপির প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার সরকারি হিসাব থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ কম। বাংলাদেশেও যদি এ ধরনের গবেষণা চালানো হয় তবে প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার সরকারি হিসাব থেকে একই হারে কমে ৪-৫ শতাংশের মতো পাওয়া যাবে। উন্নয়ন অন্বেষণ বলছে, বাংলাদেশে বর্তমান প্রবৃদ্ধিকে অটো-পাইলট প্রবৃদ্ধি বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকারের সাথে অভিবাসী আয় থেকে সৃষ্ট ভোগের অনুপাত বেশ আয়তনবিশিষ্ট হওয়ায় সরকারি কোন ইতিবাচক নীতিগত হস্তক্ষেপ না থাকলেও বাংলাদেশে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি জায়মান থাকবে।

আয়-ব্যয় ভারসাম্যহীনতা

আয়-ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতার কারণে বাজেটে লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কর আদায়ের পরিমাণ যেমন কম তেমনি করের আওতাও বাড়েনি। ঘোষিত ও সংশোধিত বাজেটের কর আদায়ের পরিমাণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য বিদ্যমান। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কর রাজস্বের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রকৃত বাজেটে রাজস্ব কর আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ঘোষিত লক্ষমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব কর আদায় বাড়াতে হবে ৭৫ শতাংশ। অতীত অভিজ্ঞতা বলে যা কখনও সম্ভব নয়।

বাজেটে করের আওতা বাড়েনি। মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ করদাতা। প্রতিবেশি দেশে অপেক্ষাকৃত কম হলেও করদাতার পরিমাণ প্রায় ১৮ শতাংশের মতো। পরিসংখ্যান বলছে, সামর্থবান মানুষের ৬৮ শতাংশই করের আওতায় নেই। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় কর-জিডিপি হারও কম। জাতীয় আয়ের যে প্রবৃদ্ধির দেখানো হয়, তার সাথে সঙ্গতিহীন।

কর কাঠামো মূল্য সংযোজন করের উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে মূসক আহরিত হয়েছিল ২৩ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মূসক আদায়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারিত হয়েছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা, পরে তা সংশোধিত হয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকায় রূপ নেয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মূসক আদায়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ কর কাঠামো প্রতিক্রিয়াশীল রয়ে গেছে যার বোঝা সাধারণ জনগনকে বহন করতে হবে।

বাজেটের একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানে। সর্বশেষ বাজেটে জনপ্রশাসন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেটের ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ। অবসরের পরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এবং পদের তুলনায় অত্যধিক পদোন্নতির ফলে সরকারি কর্মচারীদের উচ্চপদে আসীন কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে বেতনভাতা। উদাহরণস্বরূপ, প্রশাসনে উপসচিবের ৮৫০টি পদের বিপরীতে কর্মকর্তার সংখ্যা ১৫৫৪ জন। যুগ্ম সচিবের ৪৫০টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৭৮৭ জন।

ব্যয় বাড়ছে, আয় বাড়ছে না। ফলে প্রতি বছরই বাজেট ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। বাজেট ঘাটতি পূরণ করতে অত্যধিক পরিমাণে ঋণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন যে হারে ঋণ আসছে পরিশোধ এখনই করা হচ্ছে না। একারণে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যখন শোধ করা শুরু হবে তখন সমস্যা দেখা দেবে। এ ঋণ পরিশোধ করতে যেয়ে সামগ্রিক অর্থনীতি চাপের মুখে পড়বে এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। অত্যধিক ঋণ নেয়ার মাধ্যমে অর্থনীতি ক্রমাগত একটি ঋণচক্রজালে জড়িয়ে পড়ছে। এই জাল থেকে বের হওয়া অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

বৈদেশিক লেনদেন স্থিতি ভারসাম্যহীনতা

বৈদেশিক লেনদেন স্থিতির ভারসাম্যহীনতা সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতি লক্ষণীয়। গত দুই বছর ধরে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের শ্লথ গতি এবং আমদানি ব্যয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধি চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ব্যাপক চাপ তৈরি করেই চলেছে। যেমন চলমান ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই- এপ্রিল সময়ে রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়ের ফারাক বাড়ায় ১৩,৫৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। প্রবাসী আয়েও মন্দাভাব লক্ষণীয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই- এপ্রিল সময়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য বাড়লেও (১৩,৩০৩ মিলিয়ন ডলার) গত কয়েক বছর প্রবাসী আয়ের প্রবাহে উঠানামা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। ফলে চলতি হিসাবে ৫,০৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘাটতি।

সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ গত অর্থবছরের চেয়ে এ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়কালে কিছুটা বাড়লেও কয়েক বছর ধরে এর পরিমাণ ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছিই আটকে আছে। কিন্তু পুঁজিবাজারে ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। পুঁজিবাজারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ ২২.৯৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ আগের অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে ১৬.৩০ শতাংশ বেড়েছে। এসময়ে অন্যান্য স্বল্প মেয়াদী ঋণের পারিমাণও বেড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড় বড় অবকাঠামোর জন্য ঋণ নেয়া হচ্ছে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

উন্নয়ন অন্বেষণ বলছ যে, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো খাত সবচেয়ে অবহেলিত। এই খাতে অবকাঠামো খরচ বাড়লেও গুণগত মান পরছে । বিদেশ থেকে জনশক্তি আনতে হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারত প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার অভিবাসী আয় হিসেবে পেয়েছে। ব্যক্তিপ্রতি স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার খরচ ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশে ব্যক্তিপ্রতি স্বাস্থ্যখাতে খরচ মোট খরচের ৬৭ শতাংশ। ভারত (৬২ শতাংশ), পাকিস্তান (৫৬ শতাংশ), নেপাল (৪৭ শতাংশ), ভুটান (২৫ শতাংশ) ও ভুটান (১৮ শতাংশ) । খরচ বেড়েছে, মান বাড়ে নাই।

শিল্প ও কৃষিখাত

উৎপাদনশীলতার প্রবৃদ্ধি হ্রাসের কারণে কৃষিখাতে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। বিশেষত শস্য উৎপাদনে নেতিবাচক লক্ষণ স্পষ্ট। কৃষি খাতের হ্রসমান প্রবৃদ্ধির কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সবুজ বিপ্লবের পর এই খাতে প্রযুক্তির তেমন অগ্রগতি সাধিত হয়নি। আবার অধিকাংশ কৃষকই দরিদ্র। এই ক্ষুদ্র ও দরিদ্র কৃষক অত্যধিক মূল্যে এইসব প্রযুক্তিসেবা কিনতে পারছে না। কৃষি জমি একদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হচ্ছে, অন্যদিকে এগুলোর উর্বরা শক্তিও কমছে।

উৎপাদনশীল খাতের পরিমাণ বাড়ছে না ও বহুমুখীকরণ হচ্ছে না। এক খাতকেন্দ্রিক নির্ভরতা অর্থনীতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। তৈরি পোশাক শিল্পের বাইরে নতুন কোন নির্ভরযোগ্য উৎপাদনশীল খাত তৈরি হচ্ছে না। গত ছয় বছরে শিল্প-কারখানার সংখ্যাও বাড়ে নাই— কমেছে ৬০৮ টি। ২০১২ সালে বড় শিল্প-কারখানা ছিল ৩ হাজার ৬৩৯টি, ২০১৯ সালে সংখ্যা কমে ৩ হাজার ৩১টি হয়েছে। মাঝারি শিল্প কারখানা ৬ হাজার ১০৩ টি থেকে কমে ৩ হাজার ১৪টি হয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্প-কারখানার সংখ্যাও কমেছে। শিল্পখাতে বর্তমানে ১ লক্ষ ২৯ হাজার জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে । ২০-২২ লক্ষ চাকুরীপ্রার্থী তরুণ-তরুণীর তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। মৌলিক সমস্যাগুলোর এরূপ প্রকটতার মুখ্য কারণ হল - প্রতিষ্ঠানগুলোর ভঙ্গুরতা, বিনিয়োগে আস্থাহীনতা ও পুঁজিপাচার।

বাজেটে পোশাক শিল্প খাতে প্রণোদনা হিসেবে ২৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিকল্প অন্য কোন খাতের জন্য তেমন উল্লেখ নেয়া হচ্ছে না। পোশাক-শিল্প খাতের প্রভাব বেশি থাকায় তারাই সুবিধা পাচ্ছে। পণ্য রপ্তানি এবং শিল্পের বৈচিত্রকরণ এবং বহুমুখীকরণ করা না গেলে শিল্প খাত অদূর ভবিষ্যতে মুখথুবরে পড়বে।

আর্থিক খাত

ব্যাংক ও পুজিবাজারের দৈন্যদশা আর্থিক খাতকে আরও নাজুক অবস্থায় পর্যবসিত করছে। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে অবস্থা আরও বেগতিক হবে।

দারিদ্র্য ও অসমতা

দারিদ্র্য কমার হার একদিকে কমছে, অন্যদিকে অসমতার হার বাড়ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির উল্লম্ফনের সাথে দারিদ্র্য কমার হারের এই ক্রমহ্রাসমানতা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ২০১৬ সালে বৈষম্যপরিমাপকারী জিনি সূচক ০.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালে ০.৪১ শতাংশ ছিল। ২০১৬ সালে সবচেয়ে দরিদ্র ১০ শতাংশ মানুষের আয়ের অংশীদারিত্ব ২০১০ সালের তুলনায় কমে ১.০১ শতাংশ হয়েছে। ২০১০ সালে ২ শতাংশ ছিল। ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রতি বছর দারিদ্র কমার হার ছিল ১.৭ শতাংশ। ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে এহার কমে ১.২ শতাংশে নেমেছে। দারিদ্র্য কমার হার কমছে, দরিদ্র আরও দরিদ্র হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত