বিমানবন্দর সড়ক ছেড়েছে শ্রমিকরা, চলছে যানবাহন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:২৩ আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:২৯
ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা অবরোধের পর বিমানবন্দর সড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে পোশাক শ্রমিকরা। এর পরপরই সড়কের দুইপাশে যানচলাচল শুরু হয়।
সোমবার দুপুর আড়াইটায় তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে তাদের কর্মস্থলে ফিরে যান।
সোমবার সকাল থেকে ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে গাজীপুর, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা ও বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে পোশাক শ্রমিকরা। আন্দোলনের সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিমানবন্দর সড়কে এনা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়।
ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল বলেন, ‘আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে থাকেন। যদি জ্বালাও-পোড়াও করেন তাহলে আমরা কোনো সহযোগিতা করব না। আমরা চাই আপনারা সরকারি কাঠামো অনুযায়ী বেতন পান। গতকাল আমরা সহ্য করেছি, আজ করছি। আর করবো না।’
এর পরপরই নিপা গ্রুপের চেয়ারম্যান খশরু চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে বলেন, আমি সরকারি কাঠামো অনুযায়ী বেতন দেব। আপনারা ফিরে যান। যদি সরকারি কাঠামো অনুযায়ী বেতন দিয়ে গার্মেন্ট নাও চালাতে পারি, যদি গার্মেন্ট বন্ধ করে দিতে হয়, এরপর আমি ১ মাসের অগ্রিম বেতন দিয়ে যাব।
তাদের আশ্বাসের পর পুলিশ পায়ে হেঁটে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তারা শান্তিপূর্ণভাবে সরে যায়।
বিক্ষোভের বিষয়ে টেক্স গ্রুপ লিমিটেডের অপারেটর রুবেল বলেন, মজুরি স্কেল অনুযায়ী ১৬ হাজার টাকা পাওয়ার কথা মালিক ৮ হাজার দিচ্ছে। অন্যান্য গার্মেন্ট মালিকরা এখানে এসে কথা বললেও আমাদের মালিক কোনো আশ্বাস দেননি। এখন আমরা কী করবো?
ডিসেন্সি গ্রুপ লিমিটেডের শ্রমিক রবিন জানান, নতুন স্কেল অনুযায়ী বেসিক (মূল বেতন) ১০ হাজারসহ সব মিলে ১৬ হাজার হওয়ার কথা। মালিকপক্ষ নতুন মজুরি অনুযায়ী বেতন দিচ্ছে না, আশ্বাসও দেয় না কিছু বলে না। আজ আমরা আশ্বাসে ঘরে ফিরছি দেখি মালিকরা মজুরি বাড়ায় কি-না।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই