বগুড়ায় বিএনপি নেতার হামলায় আহত যুবদল নেতার মৃত্যু
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪০ আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৫
![বগুড়ায় বিএনপি নেতার হামলায় আহত যুবদল নেতার মৃত্যু](/assets/news_photos/2025/02/15/image-284448-1739598174bdjournal.jpg)
বগুড়ার সোনাতলায় বিএনপি নেতার হামলায় আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান রাশেদ (২৭) মারা গেছেন। তিনি সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক হারুনার রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসী তিন পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হান্নান। বাকি দুটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন ও বগুড়া শহর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল।
এই বিভক্তি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জামায়াত নেতা জুয়েল ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে পাকুল্লা বাজারে মহড়া দেন। ওই দিন হান্নান দাবি করেন, জুয়েল তার বাড়িতে আক্রমণ করতে যান। তাদের মোটরসাইকেল বহরে যুবদল নেতা রাশেদ ছিলেন। জুয়েল ফিরে যাওয়ার পর কে বা কারা রাশেদুলের ওপর হামলা করেন।
নিহত রাশেদের স্বজনদের অভিযোগ, গত কয়েকমাস ধরে সোনাতলার পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই গ্রুপের বিরোধ চলছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাশেদ বগুড়া শিবগঞ্জে বন্ধু বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন। পথে পাকুল্লা বাজারে বিদ্যালয়ের সভাপতি পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হান্নান বাটুলের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা ভারী বস্তু দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। আহত অবস্থায় রাশেদকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় চিকিৎসক রাশেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাশেদুলের মৃত্যুর খবর শুনে শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগীদের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেছেন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতা আলী হাসান বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাশেদ মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় বাটালুর নেতৃত্বে তার লোকজন ধাওয়া করে। রাশেদ মোটরসাইকেল ফেলে রেখে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন্নবি বলেন, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। সেই জেরে রাশেদ নামের একজনকে মারধর করা হয়। শুক্রবার রাশেদ মারা গেলে তার পক্ষের লোকজন বাটালু ও তার লোকজনের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেন। তবে এর আগেই বাটালু ও তার লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, রাশেদুল মারা যাওয়ার খবরে পাকুল্লা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ