ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকের নিয়োগপ্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ রোববার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:২৮  
আপডেট :
 ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৩৬

প্রাথমিকের নিয়োগপ্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ রোববার
ছবি: সংগৃহীত

রোববার মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশীরা। শুক্রবার এবং শনিবার এই দুই দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন জান্নাতুন নাঈম সুইটি, সামিয়া আক্তার ও নওরীন আক্তার নামে নিয়োগ প্রত্যাশীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা। তবে কোথায় এ সমাবেশ করা হবে তা জানানো হয়নি।

নিয়োগ প্রত্যাশীরা বলেন, অধিকার আদায় না হলে আত্মহত্যা করবো, তবু আমাদের অধিকার আদায় করবো।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী দুই দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে। নারী শিক্ষিকাদের গায়ে পুলিশের হাত তোলার প্রতিবাদ এবং যোগাদানের দাবিতে রবিবার মহাসমাবেশ করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে নিয়োগ প্রত্যাশীরা বলেন, আমরা নিয়োগপত্র পেয়েছি। ডোপ টেস্ট হয়েছে। যারা চাকরি পায়নি তারা রিট করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে। অথচ আমাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

তারা বলেন, পুলিশ যেসব শিক্ষককে আটক করেছে, তাদের এক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। দাবি আদায় না হলে আমরা রাজপথে আত্মহত্যা করবো। রবিবারের মধ্যে অবৈধ প্রহসনের রায় বাতিল করে আমাদের যোগদান নিশ্চিত করতে হবে।

দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে সড়কে অবস্থান নেন নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকরা। শাহবাগ মোড়ের চারপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে উঠিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশি অ্যাকশনে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

২০২৩ সালের ১৪ জুনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নির্বাচন করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়, যাতে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ অন্যান্য কোটা ছিল।

পরে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী গত রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রুল দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার পাঁচশ ৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এরপর থেকে আন্দোলন করে আসছেন ফল বাতিল হওয়া শিক্ষক প্রার্থীরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত