ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শিক্ষকদের অবস্থান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৯  
আপডেট :
 ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩২

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শিক্ষকদের অবস্থান
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। ছবি: সংগৃহীত

এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারি করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা ও শতভাগ উৎসব ভাতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ চাচ্ছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট ঘোষিত এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত শিক্ষক অবস্থান নিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের অবস্থান দেখা যায়।

দাবি মেনে না নিলে সারাদেশে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মবিরতি, অনশন এবং মাধ্যমিক ও দাখিল পরীক্ষা বর্জনেরও হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনে নামা শিক্ষকরা।

শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে দুই দফা দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

শিক্ষকরা বলছেন, মঙ্গলবার উপদেষ্টার তরফ থেকে আগামী বাজেটে ভাতা বাড়ানোর আশ্বাস পাওয়া গেছে। তবে জাতীয়করণে সিদ্ধান্ত এই সরকার নিতে পারবে না, ফলে ওই দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের জন্যই রেখে দেয়ার কথা বলছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী গণমাধ্যমকে বলেন, "আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী না, এখানে (প্রেসক্লাব) এসে ঘোষণা দিতে হবে; আমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। জাতীয়করণ না করলেও, এই ঈদ থেকেই সরকারি নিয়মে ভাতা আর বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা এখানে এসে দিলে আমরা সরে যাব।

এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী আবুল বাশার, শাহ আলম, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. আবদুল হাই সিদ্দিকী, মো. রবিউল ইসলাম, মো. তোফায়েল সরকার, অধ্যক্ষ আলাউদ্দীন, জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, অধ্যক্ষ আবু সায়েম মোল্লা, উপাধ্যক্ষ নুরুল আলম খান, অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, মনিরুল ইসলাম, আবদুল হালিম, আফরোজা শ্রাবণ প্রমুখ।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এখন এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত