ঢাকা, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

২০২৪ এর কমিটমেন্ট ধরে রাখতে হবে: ড. আলী রিয়াজ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:১৭  
আপডেট :
 ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:২৫

২০২৪ এর কমিটমেন্ট ধরে রাখতে হবে: ড. আলী রিয়াজ
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রিয়াজ। সংগৃহীত ছবি

গত ৫৪ বছর ধরে মানুষ নিজ উদ্যোগে অনেক কিছু অর্জন করেছে। ফলে সমাজ এগিয়েছে। ২০২৪ বলে দিচ্ছে আপনারা পারেন। এই কমিটমেন্ট ধরে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর ড. আলী রিয়াজ।

তিনি আরও বলেন, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ধরে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাকে স্থায়ী করা হয়েছে, সেগুলো কেবল প্রাণের বিনিময়ে অবিলম্বে দূর করতে পারবো এ রকম ভাবার সুযোগ নেই। ১৯৭২ সালে পৃথিবী জুড়ে অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, বাংলাদেশ টিকবে না, তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের মানুষ প্রমাণ করেছে তারা পারে। বাংলাদেশ অগ্রসর হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রফেসর ড. আলী রিয়াজ বলেন, সবাই দায়িত্ববোধ আর জ্ঞান দিয়ে, আচরণ দিয়ে একটু একটু করে সেই বৈষম্য কমানো সম্ভব। অর্জনের প্রথম কাজ হলো পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতাবোধ তৈরি করা। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশের মানুষ নিজস্ব কর্ম উদ্যোগে অনেক কিছুই অর্জন করেছে। তরুণরাই হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই এই তরুণদের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা, ভিন্নমতদের প্রতি সহমর্মিতাবোধ তৈরি, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করা, সকলকে সমতার জায়গায় নেয়ার চেষ্টা থাকলে সাফল্য অর্জিত হবে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রফেসর ড. আলী রিয়াজ বলেন, গত ৫৪ বছর ধরে মানুষ নিজ উদ্যোগে অনেক কিছু অর্জন করেছে। ফলে সমাজ এগিয়েছে। ২০২৪ বলে দিচ্ছে আপনারা পারেন। এই কমিটমেন্ট ধরে রাখতে হবে। যে বীর শহিদরা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন তাদের মেধা, পরিশ্রম, আন্তরিকতা, সহযোগিতা ও আন্দোলনের ফসল নতুন বাংলাদেশ। আমি অনুভব করি এটার প্রয়োজন ছিল। তাদের অবদান আপনি যদি স্বীকার না করেন তাহলে সেটা ব্যক্তির উদ্‌যাপন হবে। কোথাও অন্যায় হলে কণ্ঠস্বর স্পষ্ট হওয়া উচিত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। ছোট অন্যায্য একদিন বড় হয়ে যায়। অন্যায্য সমাজকে ধ্বংস করে দেয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকুন।

এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহত শহিদদের জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে নিহত শহিদ ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ড. এসএম আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আকন্দ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ, রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. নজরুল ইসলাম। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শামীম আহসান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক, হল প্রভোস্ট ও নবাগত শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত