ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সিআইডির ক্রাইম সিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩০
![ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সিআইডির ক্রাইম সিন](/assets/news_photos/2025/02/10/image-284186-1739169221bdjournal.jpg)
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গুঁড়িয়ে দেয়া শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে গেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমের সিনের একটি দল। সেখান থেকে তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিনের ৫-৬ জনের একটি দল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পৌঁছায়।
সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সিআইডির ক্রাইম সিনের একটি দল সকালে গেছে। সিআইডির ক্রাইম সিন অপরাধের আলামত সংগ্রহের দক্ষ একটি দল। তারা সেখান থেকে অপরাধ সংক্রান্ত আলামত সংগ্রহ করছে। এর বাইরে এ বিষয়ে আর কিছু এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, ৩২ নম্বরে কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে। সেগুলো মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর তা পরীক্ষা করতে সিআইডির ক্রাইম সিনকে ডাকা হয়েছে। তারা আলামত সংগ্রহ করে সেগুলো নিয়ে গেছেন। পরে তারা তাদের ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখবেন এই হাড়গোড় মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ভাঙা বাড়িতেই কি হাড়গোড় পাওয়া গেছে- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোথায় থেকে পাওয়া গেছে তা বলতে পারছি না। তবে এটুকু জেনেছি যে এগুলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পাওয়া গেছে।
এর আগে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) আয়নাঘর বা গোপন বন্দিশালা আছে– এমন সন্দেহে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির বেজমেন্ট থেকে পানি সরানোর কাজ করে ফায়ার সার্ভিস। পর সেখানে কিছুই পায়নি তারা।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বাড়ির পাশেই নির্মাণাধীন ভবনে উপস্থিত হয় বিক্ষুব্ধরা। সেই ভবনের কয়েকতলা বেজমেন্ট দেখতে পায় তারা। তার মধ্যে দুই তলা পর্যন্ত নামতে পারলেও পরবর্তী ফ্লোরে পানি দেখা যায়। অনুমান করা হয়, নিচে আরও কয়েকটি তলা রয়েছে। তার পর কয়েকদিন ধরে এই বাড়ির বেজমেন্টের জায়গা নিয়ে চলছিল নানা আলোচনা।
সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ৩২ নম্বরের বেজমেন্টে রোববার সকাল থেকে পানি সেচ করার কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস। সেচের কাজ শেষ করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন দুপুর সোয়া ১টার দিকে। এরপর সোমবার সেখানে আলামত সংগ্রহে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট পৌঁছায়।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ