সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:১৯
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নানা সময়ে বিতর্কিত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুরে অবস্থিত তার গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
একই সময়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই সপরিবারে পলাতক মুরাদ হাসান। শেখ হাসিনার লাইভ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর মুরাদের বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটে। এসময় মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত গাড়িও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাকে প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ অপসারণ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন মুরাদ হাসান।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের একটি অশ্লীল ফোনালাপ ভাইরাল হয়। পরে সরকার তাকে মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দিলে পালিয়ে কানাডার যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
সবশেষ ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, দুই মেয়াদে এমপি ও মন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দ লুটপাটসহ নিয়োগ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন মুরাদ হাসান। অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব ‘মুকুল বাহিনী’। তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষসহ নিজ দলের মধ্যেও ছিল চরম ক্ষোভ।
এ দিকে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁদ মিয়া জানান, মুরাদ হাসানের বাড়ি ভাঙচুর সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম