বিধ্বস্ত ৩২ নম্বরে উৎসুক জনতার ভিড়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৩
গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতভর ভাঙচুর ও পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি। এখন পড়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপ। গত দুই দিনের মতো আজ শুক্রবারও সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। কেউ একা, কেউ আবার পরিবার নিয়ে এসেছেন বিধ্বস্ত বাড়িটি দেখতে।
এ ছাড়া ভাঙারি দোকানি ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা ব্যস্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে লোহার রড কাটায়। হাতুড়ি, শাবল, লোহা কাটার ব্লেড দিয়ে যে যার মতো সেগুলো কেটে নিচ্ছেন। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে নারী, পুরুষ, কিশোরও রয়েছে।
গত বুধবার রাতে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২–এ শেখ মুজিব রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলে ভাঙচুর। এরপর যে যার মতো ইট, কাঠ, লোহাসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যেতে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। ভাঙা বাড়িটির ধ্বংসস্তূপ দেখতে আসছেন অনেকে। কেউ কেউ করছেন ভিডিও, তুলছেন ছবি। লোহা, রড কেটে নিয়ে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। হাতুড়ি, শাবল, লোহা কাটার ব্লেড দিয়ে যে যার মতো কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
বাড়িটির আশপাশে সংবাদকর্মীদের ভিড় দেখা গেছে। ৩২ নম্বর সড়ক দিয়ে যারা যাচ্ছেন, তাদের অনেকেই গাড়ির গতি কমিয়ে জানালা দিয়ে বাড়িটি দেখছেন। ছবি তুলছেন। গতকাল যেখানে গরু জবাই করে রান্না করা হয়েছে, সেখানেও অনেকের ভিড় দেখা গেছে।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর শুরুর পর গত বুধবার রাতে খুলনার ‘শেখ বাড়ি’তে ভাঙচুরের প্রথম খবর আসে। এরপর কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়িতে হামলা হয়। এরপর গত দুই দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কমপক্ষে ৩৩টি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের অন্তত অর্ধশত ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের আটটি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়ি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বাড়িতেই থাকতেন শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। বাড়িটি পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ