বগুড়ায় আওয়ামী লীগ-জাসদ-জাতীয় পার্টির অফিসে অগ্নিসংযোগ
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:০২
![বগুড়ায় আওয়ামী লীগ-জাসদ-জাতীয় পার্টির অফিসে অগ্নিসংযোগ](/assets/news_photos/2025/02/06/image-284014-1738861751bdjournal.jpg)
বগুড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে জেলা জাসদ (ইনু) ও জাতীয় পার্টি এবং শ্রমিক জোটের কার্যালয়েও।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শহরের সাতমাথায় টেম্পল রোডে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আসবাবপত্র রাস্তায় নামিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে এসব হামলা ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট চললেও রাত ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সেখানে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথমে বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাত মাথায় শেরপুর রোডে আওয়ামী লীগ জেলা হামলা চালানো হয়।
সেখানে অগ্নিসংযোগের পর সাতমাথায় থাকা জেলা জাসদ (ইনু) ও জাতীয় শ্রমিক জোট কার্যালয়ে হামলা করে ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে একদল মানুষ। পরে শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে জাতীয় পার্টি কার্যালয়েও চালানো হয় ভাঙচুর। করা হয় অগ্নিসংযোগ।
এ সময় আগুন এবং ভাঙচুর করা কয়েকশত জনতা শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা পর্যন্ত মিছিল করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে শ্লোগান শোনা যায়, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘দিল্লী না ঢাকা- ঢাকা, ঢাকা’; ‘পিনাকী দাদার অ্যাকশন- ডাইরেক্ট এ্যাকশন’। এছাড়াও শেখ হাসিনাকে ভারতের দালাল এবং হাসানুল হক ইনুকে হাসিনার দালাল হিসাবেও শ্লোগান দেয়া হয় মিছিলে।
অনেককেই আওয়ামী লীগ-জাসদ-জাতীয় শ্রমিক জোট অফিস থেকে বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যেতেও দেখা যায়।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল জলিল গণমাধ্যমকে বলেন, শহরে অগ্নিসংযোগ করার বিষয়ে তিনি জানেন না। এখন জানার পর কী ব্যবস্থা নিবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- “দেখি।”
এছাড়া এই বিষয়ে জানতে বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে জেলা পুলিশ সুপার জিদান আল মুসাকে কল করা হলে তিনিও ধরেননি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি